
ভারতে প্রতি বছরে প্রায় ১.৭৮ লক্ষ মানুষের পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়। যার মধ্যে ৬০ শতাংশ নিহত মানুষের বয়স ১৮ থেকে ৩৪-এর মধ্যে। বৃহস্পতিবার লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে এই তথ্য জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও জাতীয় সড়ক মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি। তিনি বলেন, আমাদের ব্যবহারে পরিবর্তন আনা উচিত, আইনকে সম্মান করা উচিত।
লোকসভায় এই তথ্য জানানোর পর আক্ষেপের সঙ্গে তিনি বলেন, এত কিছুর পরেও বহু মানুষ আছেন যারা আইনের ভয় পাননা, বহু টু হুইলার চালক হেলমেট পরেন না এবং সিগনাল ভাঙেন। তিনি আরও বলেন, রাস্তার ধারে লরি দাঁড় করিয়ে রাখার কারণে বহু দুর্ঘটনা হয়।
এদিন গড়কড়ি আরও বলেন, আমি যখন পথ দুর্ঘটনা সংক্রান্ত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আলোচনাচক্রে অংশ নিতে বিদেশে যাই লজ্জায় আমার মাথা হেঁট হয়ে যায়। আমি আমার মুখ লুকোনোর চেষ্টা করি।
গড়কড়ি বলেন, পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা কমানোর কথা ভুলে যান। আমার স্বীকার করতে দ্বিধা নেই যে পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়েছে।
এদিন সড়ক পরিবহন মন্ত্রী গড়কড়ি আরও জানান, রাজ্যওয়াড়ি হিসেবে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যায় শীর্ষে উত্তরপ্রদেশ। অন্যদিকে শহরের হিসেবে মৃত্যুর সংখ্যায় শীর্ষে দিল্লি।
তাঁর দেওয়া তথ্য অনুসারে, উত্তরপ্রদেশে প্রতি বছর পথ দুর্ঘটনায় ২৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। যা পথ দুর্ঘটনায় মোট মৃত্যুর ১৩.৭ শতাংশ।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে তামিলনাড়ু। যেখানে প্রতি বছর পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৮ হাজার জনের এবং মোট মৃত্যুর অনুপাতে এই হার ১০.৬ শতাংশ।
তৃতীয় স্থানে আছে মহারাষ্ট্র। যেখানে ১৫ হাজার মৃত্যু হয় এবং শতকরা হার ৯ শতাংশ।
এরপরের স্থান মধ্যপ্রদেশের। যেখানে মৃত্যু হয় ১৩ হাজার জনের, যা পথ দুর্ঘটনায় মোট মৃত্যুর ৮ শতাংশ।
শহরের হিসেবে সব থেকে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে দিল্লিতে। যেখানে প্রতি বছর পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ১,৪০০ জনের। এরপর আছে বেঙ্গালুরু। এখানে প্রতি বছর ৯১৫ জনের পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়। জয়পুরে প্রতি বছর পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ৮৫০ জনের।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন