
সুপ্রিম কোর্টের পর এবার রাজস্থানের হাইকোর্টও অন্তর্বর্তী জামিন দিল ধর্ষণে সাজাপ্রাপ্ত স্বঘোষিত ধর্মগুরু আশারাম বাপুকে। অসুস্থতার জন্য আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী জামিন পাচ্ছেন তিনি। এর আগে ৭ জানুয়ারি অন্য এক ধর্ষণের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট ৩১ মার্চ পর্যন্ত আশারামকে অন্তর্বর্তী জামিনের নির্দেশ দিয়েছিল।
অসুস্থতার কারণে সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পান আশারাম। এরপর রাজস্থান হাইকোর্টে অন্য একটি ধর্ষণ মামলায় একই কারণ দেখিয়ে জামিনের আবেদন করেন তিনি। মঙ্গলবার বিচারপতি দীনেশ মেহতা এবং বিচারপতি বিনীত কুমার মাথুরের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল এই মামলার শুনানি। ডিভিশন বেঞ্চ অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে। বেঞ্চ জানিয়েছে, আবেদনের ধরণ সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা মামলার মতোই ছিল।
এই বিষয়ে আশারাম বাপুর আইনজীবী নিশান্ত বোরা জানিয়েছেন, ‘যদি উনি যোধপুরের বাইরে যেতে চান, তাহলে নিজের সঙ্গে তিনজন কনস্টেবল রাখতে হবে। যাদের খরচও বহন করবেন তিনি’।
এর আগে গত ৭ জানুয়ারি শারীরিক অসুস্থতার জন্য অন্য এক ধর্ষণ মামলায় আশারাম বাপুকে অন্তর্বর্তী জামিন দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তবে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ ছিল, জেল থেকে বেরোলেও এখনই তিনি পরিজন ও অনুরাগীদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না। শুধুমাত্র হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে তাঁকে।
শীর্ষ আদালতে আশারামের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, হৃদরোগের সমস্যা রয়েছে তার মক্কেলের। গত বছর পুণের হাসপাতালে ভর্তিও করা হয় তাকে। এছাড়া বয়সজনিত নানা সমস্যাও রয়েছে ৮৬ বছর বয়সী আশারামের।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ধর্মগুরু আশারাম বাপুর বিরুদ্ধে নিজেরই আশ্রমের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ২০১৮ সালে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে রাজস্থানের জয়পুর আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় তার। এরপর ২০২২ সালে প্রথম বার রাজস্থান হাইকোর্টে জামিনের আর্জি জানান তিনি।
২০২৩ সালে উচ্চ আদালত সেই আবেদন খারিজ করলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। সে বছর সুরাটের এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে আশারামের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সেপ্টেম্বরে তার জামিনের আবেদন খারিজ করে শীর্ষ আদালত।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন