
তথ্য জানানোই আরটিআই আইনের উদ্দেশ্য। কিন্তু কোনও ব্যক্তির ব্যক্তিগত কৌতূহল নিবৃত্তি এই আইনের লক্ষ্য নয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডিগ্রি বিতর্কে সোমবার দিল্লি হাইকোর্টে এমনই জানালেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা।
সোমবার মোদীর ডিগ্রি বিতর্ক মামলার শুনানি ছিল দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সচিন দত্তের এজলাসে। তুষার মেহতা জানান, একটি বিশ্বাসের জায়গা থেকে পড়ুয়াদের তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে রাখা আছে। কেউ আইনের অনুমতি নিয়ে নিজের ডিগ্রি বা মার্কশিট সংক্রান্ত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জানতেই পারেন। কিন্তু কোনও অপরিচিত ব্যক্তির কাছে তা প্রকাশ করা যাবে না।
হাইকোর্টে তুষার মেহতা জানান, ‘ওই আরটিআই কর্মী ১৯৭৮ সালের (পাশ করা) সকলের তথ্য চেয়েছেন। এর পর কেউ এসে ১৯৭৯ সালের চাইতে পারেন। তার পরে কেউ এসে ১৯৬৪ সালের চাইতে পারেন’।
বস্তুত, দীর্ঘ দিন ধরেই প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি বিতর্ক নিয়ে হাইকোর্টে মামলা চলছে। আইনি খবর পরিবেশনকারী ‘লাইভ ল’ –এর প্রতিবেদন অনুসারে, আরটিআই কর্মী নীরজ কুমার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে ১৯৭৮ সালের স্নাতক পড়ুয়াদের নাম, রোল নম্বর, প্রাপ্ত নম্বর, কে পাশ করেছেন, কে ফেল করেছেন জানতে চেয়েছিলেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তা জানানো হয়নি। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, তৃতীয় পক্ষের তথ্য এই ভাবে দেওয়া যাবে না।
এরপর ওই আরটিআই কর্মী তথ্য কমিশনের কাছে আবেদন জানান। সেই আবেদনের ভিত্তিতে ২০১৬ সালে ১৯৭৮ সালের কলা বিভাগের পড়ুয়াদের নথিপত্র খতিয়ে দেখে তথ্য প্রকাশ্যে আনার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন। ঘটনাচক্রে, তথ্য অনুযায়ী ওই বছরই মোদী স্নাতক হন।
সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৭ সালে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মামলার শুরুতেই ২০১৭ সালের ২৪ জানুয়ারি কমিশনের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে দেয় হাইকোর্ট।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন