
নতুন বছরের আগে নয়া প্রস্তুতি। রাজস্থানে অশোক গেহলট ও শচীন পাইলট শিবিরের মধ্যে দ্বন্দ্ব মেটাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে কংগ্রেস হাইকমান্ড।
কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের আগে গত সেপ্টেম্বরে, অশোক গেহলট-পন্থী যে ৯১ জন বিধায়ক, বিধানসভার স্পিকার সিপি জোশীর কাছে পদত্যাগপত্র দিয়েছিলেন, তা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই কয়েকজন বিধায়ক স্পিকারের কাছে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, তাঁরা নিজেদের পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করতে চান।
শুক্রবার, বিধানসভার স্পিকারের সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবনে দেখা করেছেন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজস্থান কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক সুখজিন্দর রন্ধাওয়া।
মনে করা হচ্ছে, কংগ্রেসের দুই শিবিরের দ্বন্দ্ব মেটাতে এবং দলীয় হাইকমান্ডের বার্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে স্পিকার যোশী ও পর্যবেক্ষক রান্ধাওয়ার মধ্যে। স্পিকারের সাথে রান্ধাওয়ার এই বৈঠককে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
রাজস্থান বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হবে ২৩ জানুয়ারি। এই অধিবেশনের আগে বিধায়কদের পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করা শাসক দলের জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
বিধায়কদের পদত্যাগ নিয়ে রাজস্থান হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেছেন বিরোধী দলনেতা রাজেন্দ্র রাঠোর। যার ভিত্তিতে স্পিকারের কাছ থেকে জবাব চেয়েছে আদালত।
কংগ্রেস বিধায়দের পদত্যাগ বিজেপির কাছে একটি প্রধান ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। মনে করা হচ্ছে, নতুন বছরে বাজেট অধিবেশন চলাকালীন, এই বিষয়ে স্পিকারের অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য দাবি জানাবে বিজেপি।
বিরোধী দলনেতা রাঠোর বলেন, 'পদত্যাগ প্রত্যাহারের জন্য আইনে কোনও বিধান নেই। যে সকল বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন, বিধায়ক হিসাবে তাঁদের কাজ চালানোর সুযোগ দেওয়া উচিত নয়।'
তিনি দাবি করেন, রাজ্যে 'একটি অবৈধ সরকার চলছে, যারা বিধানসভার প্রতি নিজেদের আস্থা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন