* মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার সমাবেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন রাজ ঠাকরে।
* আওরঙ্গজেব বিতর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা এই ধরণের পুরোনো বিষয়কে উসকে দেবার চেষ্টা করছে তারা আসলে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি করতে চাইছে।
* আর্থ সামাজিক নিরাপত্তাহীনতার কারণেই তারা সঠিকভাবে লড়াই করতে পারছেন না, বলেন রাজ ঠাকরে।
“হোয়াটসঅ্যাপ ইউনিভার্সিটিতে ইতিহাস পড়া বন্ধ করুন।” মুঘল সম্রাট আওরঙজেবকে নিয়ে ওঠা সাম্প্রতিক বিতর্কে রবিবার মুম্বাইয়ের শিবতীর্থ ময়দানে এক সমাবেশে এই মন্তব্য করলেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (MNS) প্রধান রাজ ঠাকরে। আওরঙজেবের সমাধি সরিয়ে দেবার প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, যারা এই ধরণের পুরোনো বিষয়কে উসকে দেবার চেষ্টা করছেন তারা আসলে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি করতে চাইছেন।
নিজের বক্তব্যে মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা প্রধান বলেন, ইতিহাসকে কখনও জাতি এবং ধর্ম দিয়ে বিচার করা উচিত নয়। শিবাজী পূর্ববর্তী এবং শিবাজী পরবর্তী সময়ের আর্থ সামাজিক পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা ছিল। আমরা বর্তমান সময়ের আসল সমস্ত ইস্যুর কথা ভুলে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, “ধর্ম আপনার ঘরের চার দেয়ালের মধ্যেই থাকা উচিত। একজন হিন্দু তখনই নিজেকে হিন্দু হিসেবে পরিচয় দেয় যখন মুসলিমরা রাস্তায় নেমে আসে অথবা কোনও দাঙ্গার সময়; অন্য সময়, হিন্দুরা বহু বর্ণে বিভক্ত।”
মহারাষ্ট্র থেকে আওরঙ্গজেবের সমাধি সরানোর দাবি প্রসঙ্গে রাজ ঠাকরে বলেন, আমরা কি বিশ্বকে জানাতে চাই না যে এরা মারাঠাদের ধ্বংস করতে চেয়েছিল কিন্তু পরিবর্তে নিজেরাই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছিল? হোয়াটসঅ্যাপে ইতিহাস পড়া বন্ধ করুন এবং ইতিহাসের বই পড়ুন। তিনি আরও বলেন, আসলে যারা স্বার্থপর, তারা রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষার জন্য মানুষকে উস্কে দেয় এবং তারা ইতিহাস নিয়ে আদৌ চিন্তিত নয়।
বলিউডের সাম্প্রতিক সিনেমা ছাভা-র উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যে হিন্দুরা কোনও একটা সিনেমার পরে জাগ্রত বোধ করে তাদের নিয়ে কিছু বলার নেই। আপনি কি ভিকি কৌশলের কারণে শম্ভাজি মহারাজ এবং অক্ষয় খান্নার কারণে আওরঙ্গজেবের সম্পর্কে জেনেছেন?
রাজ ঠাকরে আরও বলেন, তিনি কোনোভাবেই জনগণের উপর দোষ চাপাতে রাজি নন। কারণ আর্থ সামাজিক নিরাপত্তাহীনতার কারণেই তারা সঠিকভাবে লড়াই করতে পারছেন না। রাজনৈতিক দল এবং তাদের নেতৃত্ব শিক্ষা, কৃষি এবং কর্মসংস্থানের মতো জীবনের আসল সমস্যাগুলি থেকে মানুষের মনোযোগ সরাতে তাদের বর্ণের ভিত্তিতে বিভক্ত করছে। কিন্তু মারাঠি হিসেবে সকলের ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত এবং একবার তা করতে পারলে, রাজনৈতিক নেতারা আপনাদের ভয় পাবে। এক্ষেত্রে তামিলনাড়ুকে দেখে শেখা উচিত। যারা হিন্দি চাপিয়ে দেবার বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়াই করছে।
তিনি আরও বলেন, এখন কেউ যুবকদের জন্য চাকরির কথা বলছে না। উল্টে তাদের সকলকে জাতপাতের মধ্যে ফেলে দেওয়া হচ্ছে এবং তাদের একে অপরের সাথে লড়াই করতে বাধ্য করা হচ্ছে। আমাদের মারাঠি হিসেবে একত্রিত হওয়া উচিত।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন