

ইডির শীর্ষকর্তা পদে ভারপ্রাপ্ত অধিকর্তা হিসেবে নিয়োগ করা হলো রাহুল নবীনকে। তিনি ১৯৯৩ আইআরএস ব্যাচের অফিসার। সঞ্জয় কুমার মিশ্রর জায়গায় তাঁকে নিয়োগ করা হয়েছে।
১৫ সেপটেম্বর ইডির ডিরেক্টর পদ থেকে অবসর নিয়েছেন সঞ্জয় কুমার মিশ্র। মূলত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেই তিনি অবসর নিয়েছেন। নতুন নোটিশে বলা হয়েছে, 'রাষ্ট্রপতির নির্দেশে ইডি কর্তা সঞ্জয় কুমার মিশ্রর মেয়াদ শেষ করে তাঁর জায়গায় রাহুল নবীনকে নিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের অধিকর্তা হিসেবে কাজ করবেন। যতদিন না স্থায়ী ভাবে কাউকে নিয়োগ করা হচ্ছে ততদিন এই দায়িত্ব সামলাবেন রাহুল নবীন'।
১৯৯৩ সালের আইআরএস ব্যাচের সদস্য রাহুল নবীন বহু বছর দক্ষতার সাথে কাজ করেছেন। ইডি দপ্তরেও বহুদিন কাজ করছেন। তার আগে তিনি ইডির সদর দফতরে প্রধান ভিজিল্যান্স অফিসার হিসেবেও কাজ করেছেন।
প্রসঙ্গত, ইডির ডিরেক্টর পদে ১৯৮৫-ব্যাচের আইআরএস অফিসার সঞ্জয় কুমার মিশ্রকে প্রথমবার নিয়োগ করা হয়েছিল ২০১৮ সালের ১৯ নভেম্বর। প্রথমবার ওই পদে তাঁর কার্যকাল ছিল ২ বছর। ২০২০ সালে সঞ্জয়ের পুরনো নিয়োগপত্রে কিছু সংশোধন করে কেন্দ্রের তরফে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ আরও একবছর বাড়িয়ে দেওয়া হয়। ২০২১ সালে ফের তাঁর মেয়াদকাল বাড়ানোর নির্দেশ জারি করে মোদী সরকার। এর জন্য ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন আইন এবং দিল্লি স্পেশ্যাল পুলিশ এস্টাবলিশমেন্ট আইনে কিছু সংশোধনও করা হয়। কিন্তু ২০২১ সালে সঞ্জয়ের মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে শীর্ষ আদালতের দেওয়া নির্দেশ মানা হয়নি বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মেয়াদ বৃদ্ধি বেআইনি বলেই জানিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সেই কারণেই সঞ্জয় কুমার মিশ্রকে সরিয়েছে কেন্দ্র।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন
