

বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ভোট চুরি করে জয়ী হওয়ার পরিকল্পনা করছে বিজেপি! এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তবে এতো কিছু সত্ত্বেও বিহারে এনডিএ সরকারের পতন ঘটবে বলে আত্মবিশ্বাসী তিনি।
পাটনায় কংগ্রেসের ভোটার অধিকার যাত্রা-র সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “মোদী ভোট চুরি করে বিহার নির্বাচন জিততে চাইছেন। আপনারা সতর্ক থাকুন। যদি সতর্ক না থাকেন, মোদী ও অমিত শাহ আপনাদের দমন করবেন।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, “মোদীর অভ্যাসই হলো চুরি - ভোট চুরি, টাকা চুরি, আর যারা ব্যাঙ্ক লুট করে তাদের রক্ষা করা।”
খাড়গে আত্মবিশ্বাসের সুরে বলেন, “কয়েক মাসের মধ্যেই বিহারে নতুন সরকার গঠিত হবে। সেই সরকার হবে গরিব, মহিলা, দলিত ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণির।”
অন্যদিকে কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী সমাবেশে বিজেপিকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তিনি “ভোট চুরি”-র আরও প্রমাণ সামনে আনবেন। কংগ্রেস সাংসদের কথায়, আগের প্রমাণ ছিল অ্যাটম বম্ব, এবারের তথ্য হবে “হাইড্রোজেন বম্ব”। সাংবিধানিক মূল্যবোধ নিয়ে আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “যে শক্তি মহাত্মা গান্ধীকে হত্যা করেছিল, সেই একই শক্তি আজ আম্বেদকর ও মহাত্মা গান্ধীর তৈরি সংবিধান ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। আমরা সংবিধান ধ্বংস হতে দেব না।”
উল্লেখ্য, ১৬ দিনব্যাপী এই ভোটার অধিকার যাত্রা প্রায় ১,৩০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে, বিহারের ৩৮টির মধ্যে ২৫টি জেলা এবং ১১০টি বিধানসভা কেন্দ্র জুড়ে প্রচার চালায়। কংগ্রেসের দাবি, বিশেষ নিবিড় পুনর্বিবেচনা (SIR) প্রক্রিয়ায় ভোটার তালিকা সংশোধনে অনিয়ম ও “ভোট চুরি”-র বিরুদ্ধে এই যাত্রার আয়োজন করা হয়।
খাড়গে এদিন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারকেও আক্রমণ করে বলেন, যিনি একসময় সমাজতন্ত্রের কথা বলতেন, তিনি এখন বিজেপি ও আরএসএসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। নীতিশ কুমারকে শেষ পর্যন্ত বিজেপি ও আরএসএস পরিত্যাগ করবে। ভোটার অধিকার যাত্রা ব্যাহত করার চেষ্টা হয়েছিল। তবে বিহারের মানুষ ও মহাগঠবন্ধনের কর্মীরা পিছু হটেননি।
আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনকে ঘিরে এই সমাবেশে কংগ্রেসের আক্রমণাত্মক অবস্থান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, যা বিজেপি-জেডিইউ জোটের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াই আরও তীব্র করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন