● মঙ্গলবার লোকসভায় রাহুল গান্ধী বলেন ভোট চুরি সবথেকে বড়ো দেশদ্রোহ।
● নিজের বক্তব্যে তিনি সিসিটিভি ফুটেজ সংক্রান্ত আইনের পরিবর্তনের দাবি জানান।
● লোকসভার বিরোধী দলনেতা বলেন, বিশেষজ্ঞদের দিয়ে ইভিএম পরীক্ষা করতে দেওয়া হোক।
‘ভোট চুরি’ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার লোকসভায় বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর কড়া আক্রমণের মুখে পড়লো শাসকদল বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশন। গতকাল লোকসভার অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ভোট চুরি অত্যন্ত গুরুতর দেশবিরোধী এবং জাতীয়তা বিরোধী বিষয়। বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশন গোপন আঁতাত করে ভারতীয় গণতন্ত্র ধ্বংস করার এবং সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর চুরি করার খেলায় নেমেছে। তিনি বলেন, "ভারত শুধুমাত্র বিশ্বের বৃহত্তম নয়, বরং সর্বশ্রেষ্ঠ গণতন্ত্র।"
গতকাল সংসদে নির্বাচনী সংস্কার বিষয়ক অংশ নেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি খুব স্পষ্টভাবেই দাবি করেন বিজেপি নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়ে এবং ব্যবহার করে ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে। এদিন তিনি আবারও ভোটের এক মাস আগে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে মেশিন পাঠযোগ্য ভোটার তালিকা দেবার দাবি জানান।
গতকাল কংগ্রেস সাংসদ বলেন, যখন ভোট ব্যবস্থা ধ্বংস করা হচ্ছে, তখন পাশাপাশি এই দেশের মূল কাঠামো ধ্বংস করা হচ্ছে। আধুনিক ভারত ধ্বংস করা হচ্ছে, ভারতের মূল ধারণা ধ্বংস করা হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, ৪৫ দিন পরে সিসিটিভি ফুটেজ নষ্ট করার অনুমতি দেওয়া আইন প্রত্যাহার করতে হবে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনারদের যা খুশি তাই করতে দেবার অনুমতি দেয় এমন আইনেরও পরিবর্তন আনা দরকার।
গতকাল রাহুল গান্ধী আবারও প্রশ্ন তোলেন যে কেন ভারতের প্রধান বিচারপতিকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের জন্য নির্বাচনী প্যানেল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল? এই অপসারণের পেছনে কী কারণ থাকতে পারে? আমরা প্রধান বিচারপতির ওপর আস্থা রাখি। আমি ওই কমিটিতে আছি। একদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অন্যদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আছেন। ওই কমিটিতে আমার বক্তব্যের কোনও মূল্য নেই। তাঁরা যা সিদ্ধান্ত নেন তাই হয়। এক্ষেত্রে প্রশ্ন একটাই, নির্বাচন কমিশনার কে হবেন তা ঠিক করার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এত আগ্রহী কেন?
গতকাল লোকসভায় রাহুল গান্ধীর বক্তব্যে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ সংক্রান্ত আইনের বিষয়টিও উঠে আসে। এই প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধী বলেন, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে এই সরকার আইন পরিবর্তন করে নিশ্চিত করে যে কোনও নির্বাচন কমিশনার তাদের কোনও পদক্ষেপের জন্য শাস্তি পাবেন না। ভারতের ইতিহাসে অতীতে কোনও প্রধানমন্ত্রী এই কাজ করেননি।
গতকাল বিতর্কে অংশ নিয়ে লোকসভার বিরোধী দলনেতা বলেন, নির্বাচনী সংস্কার খুবই সহজ কাজ। নির্বাচনের এক মাস আগে সব রাজনৈতিক দলকে মেশিন পাঠযোগ্য ভোটার তালিকা দেওয়া হোক এবং সিসিটিভি ফুটেজ ধ্বংস করার আইন প্রত্যাহার করা হোক। তিনি আরও বলেন, আমাদের ইভিএম ব্যবহারের সুযোগ দিন। ইভিএম-এর ভেতর কী আছে তা দেখার জন্য বিশেষজ্ঞদের যেতে দিন। আজ পর্যন্ত আমাদের ইভিএম পরীক্ষা করে দেখার সুযোগ দেওয়া হয়নি। কিন্তু সরকার নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সংস্কার চায় না। আর আমরা যে কোনও মূল্যে এই বদল আনতে বদ্ধপরিকর।
Keywords: Rahul Gandhi, Lok Sabha, vote theft, BJP, Election Commission, treason remark, Rahul Gandhi speech, political controversy, India politics news, Parliament debate
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন