
বিহারে ভোটার তালিকার ‘বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা’ (এসআইআর) নিয়ে বিতর্কের আবহেই সেরাজ্যে ‘ভোট অধিকার যাত্রা’ (Vote Adhikar Yatra) শুরু করছেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে এই যাত্রা। এসআইআর-এর মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকারের উপর হওয়া ‘আক্রমণ’ তুলে ধরার জন্যই এই যাত্রা বলে জানানো হয়েছে কংগ্রেসের তরফ থেকে।
শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে প্রাক্তন রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি অখিলেশ প্রসাদ সিং জানিয়েছেন, ১ সেপ্টেম্বর পটনা ময়দানে একটি সমাবেশের মাধ্যমে এই যাত্রা শেষ হবে। সম্ভবত এই যাত্রা শেষ না হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ আগামী ১৫ দিন বিহারেই থাকবেন রাহুল গান্ধী।
মিঃ সিং জানিয়েছেন, “আগামীকাল (রবিবার) সাসারাম থেকে ‘ভোট অধিকার যাত্রা’ শুরু করবেন রাহুল গান্ধী। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সকল অনুমতি নেওয়া হয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই যাত্রা রাজ্যে ইন্ডিয়া জোটের পালে নতুন করে হাওয়া জোগাবে।“
এরপরই সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এই যাত্রার নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আগামী প্রায় ১৫ দিনই বিহারে থাকবেন রাহুল গান্ধী। রাজ্যের ২৫টি জেলার মধ্যে দিয়ে এই যাত্রা যাবে। তবে মাঝে তিনদিন বিরতি থাকবে ২০, ২৫ এবং ৩১ আগস্ট।
এই যাত্রায় বিহারের বিরোধী দলনেতা তথা আরজেডি বিধায়ক তেজস্বী যাদবও উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন মিঃ সিং। তিনি বলেন, “সাসারামে যাত্রা শুরুর সময় রাহুল গান্ধীর সাথে বিহারের বিরোধী দল নেতা তেজস্বী যাদব উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া আমাদের অন্যান্য জোট শরিক, যার মধ্যে তিনটি বাম দলও রয়েছে, তাদের নেতারাও যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ১ সেপ্টেম্বর পাটনায় সমাপ্তি সমাবেশে, আমরা যতটা সম্ভব সমমনা দলের নেতাদের আনার চেষ্টা করব।“
তিনি বলেন, “রাস্তায় নামা ছাড়া আমাদের কাছে আর কোনও বিকল্প নেই। সংসদে এই সংবেদনশীল বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য আমাদের আবেদন বারবার এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের আচরণ আমাদের বাবাসাহেব আম্বেদকরের সেই সতর্কবার্তার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে, যেখানে তিনি বলেছিলেন বোকা বা ধূর্তরাই সংবিধানের কাছে সবচেয়ে বড় হুমকি।“
কংগ্রেস নেতা বলেন, “অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর মতো এনডিএ শরিকও বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কেবল দুটি দল, বিজেপি এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের জেডি(ইউ), এই বিষয়ে একটিও কথা বলেনি। যাই হোক, বিহারে নীতিশ কুমারের নেতৃত্বাধীন সরকার আসন্ন নির্বাচনে পরাজিত হতে চলেছে। রাজ্যের মানুষ বর্তমান শাসনব্যবস্থায় বিরক্ত।“
অন্যদিকে, শনিবারই এই যাত্রায় তেজস্বী যাদবের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরার জন্য হিন্দি এবং ভোজপুরি ভাষার মিশ্রণে আড়াই মিনিটের একটি গান প্রকাশ করেছে আরজেডি।
ঘটনাচক্রে, রবিবারই দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠেক ডেকেছে নির্বাচন কমিশন।