• রাহুল গান্ধী বলেন, ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থা যদি পুরোপুরি আরএসএস-এর নিয়ন্ত্রণে চলে যায় তাহলে দেশ ধ্বংসের পথে যাবে।
• তিনি আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ন্ত্রণ করছে আরএসএস।
• রাহুল গান্ধী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সংসদে মহাকুম্ভ নিয়ে বলেন, কিন্তু দেশের বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে কিছু বলেন না।
• রাহুল গান্ধী যন্তর মন্তরে ছাত্র সমাবেশে ভাষণ দেন।
ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থা যদি পুরোপুরি আরএসএস-এর নিয়ন্ত্রণে চলে যায় তাহলে দেশ ধ্বংসের পথে যাবে। সোমবার একথা জানিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ ও বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। নয়াদিল্লির যন্তর মন্তরে তিনি ইন্ডিয়া মঞ্চের অন্তর্গত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের ডাকে জাতীয় শিক্ষানীতির বিরোধিতায় ডাকা এক সমাবেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন।
এদিন রাহুল গান্ধী বলেন, ইন্ডিয়া মঞ্চের অন্তর্গত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে মতাদর্শ এবং নীতি নিয়ে সামান্য ভিন্নতা থাকতে পারে। কিন্তু আমরা কেউই দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কোনও সমঝোতার রাস্তায় হাঁটতে রাজী নই।
এদিন লোকসভার বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, ছাত্র সংগঠনগুলোকে অবশ্যই ছাত্রদের বলতে হবে যে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ন্ত্রণ করছে আরএসএস। আগামী দিনে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে আরএসএস-এর সুপারিশে উপাচার্য নিয়োগ করা হবে। আমাদের এটা বন্ধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সংসদে মহাকুম্ভ নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তাঁর উচিত দেশের ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়েও সংসদে কথা বলা। কিন্তু তিনি বেকারত্ব নিয়ে কোনও কথা বলেন না। তিনি মুদ্রাস্ফীতি বা শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কোনও কথা বলেন না। তাদের একমাত্র লক্ষ্য, দেশের সমস্ত সম্পদ আদানি এবং আম্বানিদের হাতে তুলে দেওয়া এবং দেশের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরএসএস-এর হাতে তুলে দেওয়া।
এদিন রাহুল গান্ধী বলেন, একটা সংগঠন দেশের ভবিষ্যৎ, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। সেই সংগঠনের নাম আরএসএস। যদি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি আরএসএস-এর হাতে চলে যায়, না আসলে ধীরে ধীরে করা হচ্ছে তাহলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। কোনও যুবক যুবতী আর কাজ পাবেনা এবং সবাইকে ধ্বংসের পথে যেতে হবে।
সমাবেশে উপস্থিত ছাত্রদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের এক হয়ে দেশ রক্ষার এই লড়াইতে শামিল হতে হবে এবং আরএসএস-কে হটাতে হবে। এদিন তিনি আরও বলেন, শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত ইউজিসি-র প্রস্তাবিত নতুন নির্দেশিকা অনুসারে দেশের সমস্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে আরএসএস-এর এজেন্ডা কায়েম করার চেষ্টা হচ্ছে। এঁদের একমাত্র লক্ষ্য, দেশে ওয়ান হিস্ট্রি, ওয়ান ট্রাডিশন, ওয়ান ল্যাঙ্গুয়েজ চালু করা।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন