

'আমি কথা বলতে চাইলে তিনি পালিয়ে যান, আমাকে কথা বলতে দেন না'। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার বিরুদ্ধে ফের অভিযোগ করলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী।
সংসদে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না বলে ফের সরব হলেন রাহুল গান্ধী। সংসদের বাইরে সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, "আমি জানি না কী হচ্ছে! আমি তাঁকে অনুরোধ করেছিলাম আমাকে কথা বলতে দেওয়ার জন্য কিন্তু তিনি (স্পিকার) পালিয়ে গেছেন। এভাবে সংসদ পরিচালনা করা যায় না। স্পিকার চলে গেলেন। তিনি আমাকে কথা বলতে দিলেন না। তিনি আমার সম্পর্কে ভিত্তিহীন কিছু বলে সংসদ মুলতবি করে দিলেন। এর কোনও প্রয়োজন ছিল না।"
তিনি আরও বলেন, "যখনই আমি উঠে দাঁড়াই, আমাকে কথা বলতে দেওয়া হয় না। আমরা যা বলতে চাই তা আমাদের বলতে দেওয়া হয় না। আমি কিছুই করিনি। আমি চুপচাপ বসে ছিলাম। আমি একটা কথাও বলিনি। ৭-৮ দিন ধরে আমাকে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। এটা একটা নতুন কৌশল। বিরোধী দলের কোনও জায়গা নেই। সেদিন প্রধানমন্ত্রী কুম্ভমেলা নিয়ে কথা বলেছিলেন, আমি কিছু যোগ করতে চেয়েছিলাম, বেকারত্ব নিয়ে কথা বলতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমাকে বলতে দেওয়া হয়নি। স্পিকারের দৃষ্টিভঙ্গি কী তা আমি জানি না, কিন্তু আমাদের কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। এটি সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক।"
অন্যদিকে, আজ সংসদ মুলতবি করার আগে স্পিকার বলেন, "বেশ কিছু ঘটনা আমার নজরে এসেছে যেখানে সদস্যদের আচরণ এই সংসদের সাথে খাপ খায় না। এই সংসদ পিতা-কন্যা, মা-কন্যা এবং স্বামী-স্ত্রী যে সম্পর্কই হোক না কেন সকলকে সদস্য হিসেবেই দেখে। এই প্রেক্ষাপটে, আমি আশা করি বিরোধী দলের নেতা সংসদে ৩৪৯ বিধি ((এই বিধিতে সদস্যদের জন্য আচরণবিধি মেনে চলার নিয়মাবলী উল্লেখ করা হয়েছে) অনুসারে আচরণ করবেন।"
স্পিকার কোন প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করেছেন তা স্পষ্ট নয়। তবে বিজেপি নেতা অমিত মালব্য বুধবার একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে সংসদে ঢুকে বোন প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর থুতনি ছুঁয়ে স্নেহ করতে দেখা গেছে রাহুল গান্ধীকে। সেই ভিডিও পোস্ট করে অমিত মালব্য লেখেন, "লজ্জার বিষয় যে লোকসভার স্পিকারকে সংসদীয় আচরণের কথা স্মরণ করিয়ে দিতে হচ্ছে রাহুল গান্ধীকে। কংগ্রেস যেভাবে এই অপরিণত ব্যক্তিকে আমাদের উপর চাপিয়ে দিয়েছে, তা লজ্জাজনক।"
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন