
মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেকে "গদ্দার" বলা নিয়ে বিতর্কের মাঝেই ফের নতুন প্যারোডি গানের ভিডিও প্রকাশ করলেন কৌতুক শিল্পী কুণাল কামরা। এবার তাঁর ব্যাঙ্গাত্মক ভিডিওতে নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ এবং বিজেপি সরকারকে। এই গানের মাধ্যমে তিনি কেন্দ্রের অর্থনৈতিক নীতির সমালোচনা করেছেন এবং সরকারকে "তানাশাহী" (একনায়কতন্ত্র) বলে কটাক্ষ করেছেন।
কুণালের প্রকাশ করা নতুন গানটি ১৯৮৭ সালের জনপ্রিয় সিনেমা 'মিস্টার ইন্ডিয়া'-এর ‘হাওয়া হাওয়াই’ গানের প্যারোডি সংস্করণ। নতুন গানের শিরোনাম — “আপকা ট্যাক্স কা পয়সা হো রাহা হ্যায় হাওয়া হাওয়াই”। এতে তিনি ট্রাফিক সমস্যা, ভেঙে পড়া সেতু, এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির ওপর করের বোঝা চাপানোর বিষয়টি ব্যঙ্গ করে তুলে ধরেছেন।
গানে তিনি বলেছেন, "ট্রাফিক বাড়ানে ইয়ে হ্যায় আয়ি, ব্রিজেস গিরানে ইয়ে হ্যায় আয়ি, কেহতে হ্যায় ইসকো তানাশাহী।" এছাড়া গানটিতে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে নিশানা করে বলা হয়েছে— "লোগো কি লুটনে কামায়ি, শাড়ি ওয়ালি দিদি আয়ি, স্যালারি চুরানে ইয়ে হ্যায় আয়ি, মিডল ক্লাস দাবানে ইয়ে হ্যায় আয়ি, কেহতে হ্যায় ইসকো নির্মলা তাই।"
এই গান প্রকাশের পরেই মুম্বাই পুলিশ কৌতুক শিল্পীকে দ্বিতীয়বার সমন পাঠিয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার তাঁকে সমন পাঠিয়েছিল পুলিশ। আইনজীবী মারফত পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে হাজিরা দেওয়ার জন্য এক সপ্তাহ সময় চেয়েছিলেন কুণাল। সূত্রের খবর, তাঁর সেই আবেদন খারিজ করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি 'নয়া ভারত' নামক একটি অনুষ্ঠান নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন কুণাল। যেখানে বর্তমান ভারতের রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে বিদ্রুপের ছলে কিছু মন্তব্য করেছেন কুণাল। সম্পূর্ণ ভিডিওটি প্রায় ৪৫ মিনিটের। এর আগে ভিডিওর যে অংশটি নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছিল সেখানে তিনি শিবসেনা প্রধান একনাথ শিন্ডেকে নিয়ে কৌতুক করেছিলেন। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, শিন্ডের নাম না করে জনপ্রিয় একটি হিন্দি গানের নকল করে তাঁর অঙ্গভঙ্গি এবং শারীরিক গঠন বর্ণনা করছেন তিনি। এক জায়গায় শিন্ডেকে 'গদ্দার' বলেও উল্লেখ করেন তিনি। আর সেই ভিডিও সামনে আসার পর থেকেই কুণালের বিরুদ্ধে সরব হন শিবসেনা সমর্থকেরা। ভাঙচুর করা হয় স্টুডিও-হোটেল। কুণালের বিরুদ্ধে একাধিক এফআইআর দায়ের হয়। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবিশ কৌতুক শিল্পীকে ক্ষমা চাইতে বলেন। তবে কুণাল জানিয়েছেন ক্ষমা তিনি চাইবেন না।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন