
পহেলগাঁও হামলার পর অপারেশন সিদুঁর অভিযান চলাকালীন পাকিস্তানের ছোড়া গোলাবর্ষণে সীমান্তবর্তী বহু ভারতীয়র মৃত্যু হয়েছে। এই সংঘর্ষে বাবা-মা হারানো শিশুদের দায়িত্ব নিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তাঁদের পড়াশোনার পাশাপাশি যাবতীয় খরচ বহন করবেন রাহুল। স্নাতক স্তর পর্যন্ত পড়াশোনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, জম্মু ও কাশ্মীরের কংগ্রেস সভাপতি তারিক হামিদ বলেন, অপারেশন সিদুঁর চলাকালীন সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়া এলাকাগুলির মধ্যে পুঞ্চ একটি। দুই দেশের সংঘর্ষের জেরে পুঞ্চের বহু শিশু তার মা-বাবাকে হারিয়েছে। এমনকি বহু পরিবার তাঁদের একমাত্র রোজগেরে সদস্যকে হারিয়েছে। তেমনই সব পরিবারের ২২ জন শিশুর যাবতীয় দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন রাহুল গান্ধী।
হামিদ জানিয়েছেন, “এই ২২ জন শিশুর পড়াশুনার জন্য প্রথম কিস্তির অর্থ বুধবারই দেওয়া হবে। যতদিন না তারা স্নাতক হচ্ছে ততদিন এই আর্থিক সাহায্য জারি থাকবে"।
ভারত-পাক সংঘর্ষ বিরতির পর পুঞ্চ গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। সেইসময় স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করে এই সমস্ত শিশুদের তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। এর পরেই এই ২২ জন শিশুর তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছিল। অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের দায়িত্ব নিলেন রায়বরেলির কংগ্রেস সাংসদ।
পুঞ্চ সফরে গিয়ে ক্রাইস্ট পাবলিক স্কুলে গিয়ে গোলাবর্ষণে নিহত ১২ বছর বয়সী যমজ ভাই-বোন উর্বা ফাতিমা এবং জয়েন আলীর সহপাঠীদের সাথে দেখা করেছিলেন রাহুল। তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে রাহুল বলেছিলেন, "তোমরা তোমাদের ছোট্ট বন্ধুদের হারিয়েছ। আমি তার জন্য দুঃখিত। এখন তোমরা একটু ভয় পেয়ে আছ। কিন্তু ভয় পাবে না। এই ঘটনার প্রতি তোমাদের প্রতিক্রিয়া হওয়া উচিত কঠোর পরিশ্রম করা, মনের আনন্দে খেলাধুলা করা এবং স্কুলে প্রচুর বন্ধু তৈরি করা। আমি তোমাদের জন্য খুব, খুব গর্বিত।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন