
উত্তরপ্রদেশে জাতিবিদ্বেষের শিকার হলেন এক কথাপ্রচারক। আক্রান্তের নাম মুকুটমণি সিং যাদব। তাঁর অভিযোগ, ব্রাহ্মণ না হওয়ার কারণেই অত্যাচার চালানো হয় তাঁর উপর। এমনকি ম্যাথা ন্যাড়া করে এক মহিলার পায়ে নাক ঘষতেও বাধ্য করা হয়েছে তাঁকে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ অখিলেশ যাদব।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ইটাওয়ার বকেওয়ার থানার অন্তর্গত দাদরাপুর গ্রামে। ২২ জুনের এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই রাজ্যজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। (ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার)
আক্রান্ত মুকুটমণি সিং যাদব কানপুরের বাসিন্দা এবং বর্তমানে ইটাওয়ার সিভিল লাইনে বসবাসকারী। তিনি জানান, দাদরাপুর গ্রামে আয়োজিত একটি সাত দিনের 'ভগবত কথা' অনুষ্ঠানে ধর্মীয় বক্তব্য দিচ্ছিলেন তিনি। অনুষ্ঠান আয়োজক পাপ্পু বাবা এবং তাঁর সহযোগীরা যখন জানতে পারেন যে ব্রাহ্মণ নন, যাদব সম্প্রদায়ভুক্ত, তখন প্রায় ৫০ জনের একটি দল তাঁর ওপর হামলা চালায়।
মুকুটমণির অভিযোগ, অভিযুক্তরা তাঁকে জুতোপেটা করে, জোর করে মাথা কামিয়ে দেয় তাঁর। এরপর গ্রামবাসীদের সামনে নতজানু হয়ে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করে। এক মহিলার পায়ে নাক ঘষতে বলা হয় তাঁকে। এমনকি হামলাকারীরা তাঁর কাছ থেকে ২৫,০০০ টাকা ও একটি সোনার হারও ছিনিয়ে নেয় বলে তিনি জানান।
সহপ্রচারক সন্ত সিং যাদব ও শ্যাম কাঠেরিয়ার উপস্থিতিতে এই ঘটনা ঘটে। আক্রান্ত ব্যক্তি আরও জানান, "অভিযুক্তরা তাঁকে বলে একজন অ-ব্রাহ্মণ কীভাবে তাদের গ্রামে ধর্মীয় কথা বলার সাহস পায়?"
ঘটনার পর সোমবার সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জিতেন্দ্র দোহরের সঙ্গে দেখা করেন মুকুটমণি। তারপর ইটাওয়ার এসএসপি ব্রিজেশ কুমার শ্রীবাস্তবের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
ঘটনার কড়া নিন্দা করেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ অখিলেশ যাদব। এক্স মাধ্যমে তিনি লেখেন, “সংবিধান জাতপাতের ভিত্তিতে কোনো বৈষম্যের অনুমতি দেয় না। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”
তিনি আরও জানান, "যদি আগামী তিন দিনের মধ্যে দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে পিডিএ সম্প্রদায়ের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার্থে বড় আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন