

নতুন জিআরএএমজি (GRAMG) বিল গ্রামীণ কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা সম্পূর্ণরূপে শেষ করে দেবে। বৃহস্পতিবার নতুন এই বিলের তীব্র বিরোধিতা সংসদের বাইরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা জানিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা।
এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আরও বলেন, আমরা এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করব। সব দল সর্বসম্মতভাবে এই বিলের বিরোধিতা করছে। এই বিল বর্তমান মনরেগাকে সম্পূর্ণভাবে শেষ করে দেবে। যেদিন দিয়েই দেখা হোক না কেন, ১০০ দিন থেকে ১২৫ দিন কর্মদিবস বৃদ্ধি করা আসলে প্রতারণা। আগামী কিছু সময়ের মধ্যেই এই প্রকল্প সম্পূর্ণ শেষ হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, রাজ্যগুলির ওপর এই কাজের বোঝা চাপানোর সাথে সাথেই এই প্রকল্প শেষ হবে। কারণ এই কাজ পরিচালনা করার মত যথেষ্ট অর্থ রাজ্য সরকারগুলোর কাছে নেই। কিন্তু বহু রাজ্যেই এই প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা আছে। এই বিল শ্রমিক ও গরিব বিরোধী। আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করছি।
এক এক্স বার্তায় (পূর্বতন ট্যুইটার) কংগ্রেস নেত্রী জানিয়েছেন, মনরেগা প্রকল্পটি দেশের দরিদ্রতম মানুষের কর্মসংস্থানের উৎস ছিল এবং করোনাভাইরাসের মতো কঠিন পরিস্থিতিতেও এটি তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। অতএব, এই বিলটি দরিদ্র ও শ্রমিকদের বিরুদ্ধে, এবং আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করব।
বৃহস্পতিবার লোকসভায় বিরোধীদের তীব্র বিরোধিতা উপেক্ষা করে ২০ বছরের পুরোনো এমজিএনআরইজিএ (MGNREGA)-র বদলে জিআরএএমজি বিল পাস করানো হয়। লোকসভায় সরকারপক্ষের দাবি, এর ফলে গ্রামীণ কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা আরও বাড়বে। গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান জানান, মোদী সরকার বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে মহাত্মা গান্ধীর আদর্শ উন্নত রাখার বিষয় নিশ্চিত করেছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন