

বিহারে জন সূরজ পার্টি ক্ষমতায় এলে প্রথমেই ১০০ জন দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা ও আমলাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করবে এবং তাঁদের অবৈধ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করবে। এমনই প্রতিশ্রুতি দিলেন জন সূরজ পার্টির প্রধান তথা প্রাক্তন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর।
সম্প্রতি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। সেখানেই তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা ও আমলাদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। প্রশান্ত কিশোর স্পষ্ট জানিয়েছেন, তাঁর দল যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে সরকার গঠনের এক মাসের মধ্যেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, “আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি বিহারকে জমি মাফিয়া, বালি মাফিয়া এবং সব ধরণের মাফিয়ামুক্ত করব। এর জন্য ছয় দফা প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেছি।”
কিশোর আরও জানান, যত পরিমাণ অবৈধ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হবে সব সরকারের তহবিলে জমা পড়বে। এর ফলে রাজ্যের উন্নতি হবে। লালু প্রসাদ যাদব এবং তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে “ল্যান্ড ফর জবস” মামলার অভিযোগ প্রসঙ্গে পিকে বলেন, “এটা কোনও খবর নয়। সবাই জানে তাঁরা কী করেন। এটা আসলে ময়লা কাপড়ে আরও একটু দাগ লাগার মতো বিষয়।”
তবে তিনি অভিযোগ করেন, আসল খবর হলো এনডিএ সরকারের দুর্নীতি। সম্রাট চৌধুরী সাতজনকে হত্যার মামলায় অভিযুক্ত হয়েও উপমুখ্যমন্ত্রীর পদে আছেন। আসন্ন নির্বাচনেও তাঁকে প্রার্থী করেছে বিজেপি।
প্রশান্ত কিশোর আরও দাবি করেছেন, বিহারের প্রায় “৬০ শতাংশ মানুষ পরিবর্তনের অপেক্ষায়। বছরের পর বছর হিন্দু ভোটাররা লালুর ভয়ে বিজেপিকে ভোট দিয়েছে আবার মুসলিম ভোটাররা বিজেপির ভয়ে লালুকে ভোট দিয়েছে। এবার তাদের সামনে বিকল্প আছে।”
উল্লেখ্য, বিহার বিধানসভা নির্বাচনে প্রথমে লড়ার সম্ভাবনা থাকলেও পরে সরে ভোটের লড়াই থেকে সরে দাঁড়ান পিকে। মুজফফরপুর কেন্দ্র থেকে পিকের দলের প্রার্থী হয়েছেন চিকিৎসক অমিত কুমার দাস। পাটনা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন ছাত্র ডাক্তার দাস দীর্ঘদিন ধরে গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবার প্রসারে কাজ করে চলেছেন। তিনি ও তাঁর চিকিৎসক স্ত্রী মুজফফরপুরে একটি হাসপাতাল পরিচালনা করেন।
রাজনৈতিক মহলের অনুমান ছিল প্রশান্ত কিশোর আসন্ন নির্বাচনে তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। কিন্তু রাঘোপুরা কেন্দ্র থেকেও অন্য একজনকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জন সূরজ পার্টি। এই আসন থেকেই আসন্ন নির্বাচনে আরজেডি-র তেজস্বী যাদবের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা। আরজেডি-র ঘাঁটি হিসেবেই পরিচিত রাঘোপুর।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন