বিহারে এনডিএ-র আসন রফার কথা ঘোষিত হয়ে গেলেও ফের বিতর্ক শুরু হল শরিক উপেন্দ্র কুশওয়াহাকে নিয়ে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপেন্দ্র কুশওয়াহার মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পরেই ফের তৎপরতা শুরু হয়ে যায় এনডিএ শিবিরে। কুশওয়াহা জানিয়েছেন, এনডিএ-তে কোনওকিছুই ঠিকঠাক নেই। পাশাপাশি নিজের অসন্তোষ মেটাতে তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ছাড়া আর কারোর সঙ্গেই আলোচনায় বসবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন। সূত্র অনুসারে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই আজই উপেন্দ্র কুশওয়াহাকে নিয়ে দিল্লি আসবেন।
এনডিএ-র আসন সমঝোতায় উপেন্দ্র কুশওয়াহার রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক মোর্চার জন্য ৬ আসন বরাদ্দ হলেও বিবাদ শুরু হয়েছে বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে। যে বিবাদের জেরে এখনও পর্যন্ত নিজের দলের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেননি এবং মনোনয়ন জমা দিতে দেননি উপেন্দ্র। আরএলএম-এর এই অসন্তোষ জানার পরেই গতকাল তাঁর বাড়িতে একাধিক শীর্ষ বিজেপি নেতা পৌঁছে যান। যদিও তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, অমিত শাহ ছাড়া এই বিবাদ কেউ মেটাতে পারবেন না। তাই তিনি অমিত শাহ ছাড়া অন্য কোনও বিজেপি নেতার সঙ্গে আলোচনা করতে আগ্রহী নন।
মঙ্গলবার গভীর রাতে উপেন্দ্র কুশওয়াহার সঙ্গে দেখা করতে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই, বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী এবং বিজেপি নেতা নীতিন নবীন এবং ঋতুরাজ সিনহা। জানা গেছে, আজ ভোর ৫টা পর্যন্ত তাদের মধ্যে বৈঠক চলেছে, যদিও সেই আলোচনায় কোনও রফাসূত্র পাওয়া যায়নি।
সূত্র অনুসারে, বিহারের মহুয়া আসন নিয়েই মূল বিবাদের শুরু। উপেন্দ্র কুশওয়াহার ইচ্ছা ওই আসনে তাঁর ছেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। যদিও আসন সমঝোতার সূত্র অনুসারে ওই আসন গেছে চিরাগ পাসোয়ানের এলজেপি (রামবিলাস)-র দলের কাছে। নিজের দলের প্রাপ্য আসন অন্য দলকে দিয়ে দেওয়ায় প্রবল ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
সূত্র অনুসারে, গভীর রাত থেকে বৈঠক চললেও নিত্যানন্দ রাই এবং সম্রাট চৌধুরীর কোনও কথাই শুনতে চাননি কুশওয়াহা। গতকালের বৈঠকের পর এদিন সকালে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এনডিএ-তে কোনওকিছুই ঠিকঠাক নেই। এরপরেই অমিত শাহ তাঁকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে। যদিও মহুয়া আসনের দাবি ছাড়তে নারাজ চিরাগ পাশোয়ান। তিনি স্পষ্টই জানিয়েছেন, মহুয়া আসন ছাড়বে না এলজেপি রামবিলাস। আপাতত দুই শরিকের আসন নিয়ে বিবাদ মেটানোর চেষ্টা করছে বিজেপি।
জানা গেছে, ইতিমধ্যেই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং তিনি চিরাগ পাসোয়ানকে জানিয়েছেন আপাতত মহুয়া আসনে কোনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা না করতে। অমিত শাহের হস্তক্ষেপের পর মঙ্গলবার রাতে চিরাগ পাসোয়ান চারজনকে প্রতীক দিলেও মহুয়া আসনের জন্য এখনও কাউকে প্রতীক দেননি। আপাতত তিনিও দিল্লিতে আছেন এবং সম্ভবত আজই বিবদমান দুই পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসতে পারেন অমিত শাহ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন