আগামী ৬ নভেম্বর বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ। এনডিএ শিবির আসন সমঝোতা সেরে ফেললেও এখনও পর্যন্ত বিরোধী মহাজোটে আসন নিয়ে দর কষাকষি চলছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত মহাজোটের কোন দল কত আসনে লড়াই করবে তা চূড়ান্ত ভাবে ঘোষিত হয়নি। সূত্র অনুসারে, আজ বুধবার আসন সমঝোতার ঘোষণা করতে পারে মহাজোট। যদিও সেই ঘোষণার পরে কোন দল কোন কেন্দ্রে প্রার্থী হবে তা নিয়েও টানাপোড়েন থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ঠিক যেভাবে এনডিএ শিবিরেও আসন সমঝোতা হয়ে গেলেও চিরাগ পাশোয়ানের দলের সঙ্গে আসন নিয়ে মনোমালিন্য অব্যাহত।
মহাজোট শিবিরের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত যা জানা গেছে তাতে গতবারের ৭১ আসনের বদলে এবার কংগ্রেস লড়াই করবে ৬০ আসনে। কোনও বাম দলেরই আসন বাড়ছে বলে এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট কোনও খবর নেই। মুকেশ সাহানীর ভিআইপিকেও কম আসনেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও সব পক্ষই এখনও পর্যন্ত বেশি আসনের দাবিতে আরজেডি-র ওপর চাপ বজায় রেখেছে।
বিহারে মহাজোটের আসন রফা প্রাথমিক ভাবে চূড়ান্ত হয়ে গেলেও পরে আবার কেন জটিলতা তৈরি হল তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও এই জটিলতার কারণেই গত সোমবার লালু প্রসাদ যাদব দলীয় প্রার্থীদের প্রতীক বন্টন করে দিলেও ওইদিনই রাতে তা ফেরত চেয়ে পাঠান বর্তমানে দলের সর্বময় কর্তা তেজস্বী যাদব। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি হয়। জানা যায় কংগ্রেসের অসন্তোষের কারণেই প্রতীক বন্টনের পরেও দিল্লি থেকে ফিরে তা ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হন তেজস্বী যাদব। গভীর রাতেও মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ভিড় দেখা যায় লালুপ্রসাদের বাড়ির বাইরে।
জানা গেছে, আরজেডি-র জাতীয় সভাপতি লালুপ্রসাদ যাদব প্রতীক বন্টনের পরে কংগ্রেস থেকে তাতে আপত্তি জানানো হয়। এক্ষেত্রে কংগ্রেসের বক্তব্য ছিল, আসন সমঝোতা হবার আগেই কিসের ভিত্তিতে প্রতীক বন্টন করা হয়েছে? যদিও আরজেডি ছাড়াও সিপিআইএমএল, সিপিআই, সিপিআইএম-এর পক্ষ থেকেও দলীয় প্রার্থীদের প্রতীক বন্টন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। যদিও তা ফিরিয়ে নেওয়া হয়নি বলেই রাজনৈতিক মহলের খবর।
যদিও এই বিতর্কের মাঝেই মঙ্গলবার এক কংগ্রেস মুখপাত্র জানিয়েছেন, মহাজোটের আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হয়ে গেছে। যেটুকু বিতর্ক ছিল তাও মিটিয়ে নেওয়া হয়েছে। বুধবারই মহাজোটের পক্ষ থেকে আসন রফার কথা ঘোষণা করা হবে।
আরজেডি, কংগ্রেস-এর পর মহাজোটের অন্যতম শরিক সিপিআইএমএল যদিও মঙ্গলবার তাদের ১৮ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। এছাড়াও সিপিআই ঘোষণা করেছে ৬ প্রার্থীর নাম। যদিও তাৎপর্যপূর্ণভাবে রাতের দিকে নিজেদের প্রার্থী তালিকা প্রত্যাহার করে নিয়েছে সিপিআইএমএল। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যেহেতু এখনও আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হয়নি তাই আপাতত তালিকা প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। কারণ প্রার্থী সংখ্যা চূড়ান্ত হলেও আসন এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন