

প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত রাজধানী। যার ফলে শুক্রবার সকালে ভেঙে পড়ল দিল্লি বিমানবন্দরের এক নম্বর টার্মিনালের ছাদের একাংশ। এই ঘটনায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৬ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। এর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি সরকারকে নিশানা করলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে।
শুক্রবার নিজের এক্স হ্যান্ডেল (পূরবর্তী টুইটার) –এ পোষ্ট করে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে লেখেন, “গত ১০ বছরে দুর্বল পরিকাঠামো তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ার জন্য মোদি সরকারের দুর্নীতি এবং অপরাধমূলক অবহেলা দায়ী।“
এরপরেই ভেঙে পড়া পরিকাঠামোর তালিকা দেন তিনি। তিনি লেখেন, “দিল্লি বিমানবন্দরের ছাদ ধস, জবলপুর বিমানবন্দরের ছাদ ধস, অযোধ্যার নতুন রাস্তাগুলির খারাপ অবস্থা, রাম মন্দিরে ছাদ থেকে জল পড়া, মুম্বই ট্রান্স হারবার লিঙ্ক রোডে ফাটল, বিহারে ২০২৩ এবং২০২৪ সাল মিলিয়ে ১৩ টি নতুন সেতু ভেঙে পড়া, গুজরাতের মরবি সেতু ভেঙে পড়া, প্রগতি ময়দানের টানেল ডুবে যাওয়া - এগুলি কিছু দৃষ্টান্ত যা মোদীজি এবং বিজেপির "বিশ্ব শ্রেণীর পরিকাঠামো" তৈরির দাবি।“
খাড়্গে আরও লিখেছেন, “১০ মার্চ, যখন মোদীজি দিল্লি বিমানবন্দর এক নম্বর টার্মিনাল উদ্বোধন করেছিলেন, তখন তিনি নিজেকে ‘অন্য মাটির তৈরি মানুষ’ বলে অভিহিত করেছিলেন। এই সমস্ত মিথ্যা প্রশংসা এবং বিবৃতি শুধুমাত্র নির্বাচনের আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ করার জন্য করা হয়েছিল।“ দুর্ঘটনায় মৃত এবং আহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক হত্যার অভিযোগ আনার দাবি তুলেছে তৃণমূলও।
উল্লেখ্য, গত ১০ মার্চ দিল্লি বিমানবন্দরের এক নম্বর টার্মিনাল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা খরচে সম্প্রতি এই বিমানবন্দরটির সংস্কার করা হয়েছিল। যদিও বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী রামমোহন নায়ডু জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী যে অংশটি সদ্য উদ্বোধন করেছেন, সেই অংশটি ভেঙে পড়েনি।
এদিকে বিমানবন্দরের ছাদ ভেঙে পড়া নিয়ে পাল্টা কংগ্রেসকে নিশানা করেছে বিজেপি। বিজেপি নেতা অমিত মালব্য নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “দিল্লি বিমানবন্দরের টার্মিনাল ওয়ানের যে অংশটি ভেঙে পড়েছে সেটি চালু হয়েছিল ২০০৯ সালে। ওই সময় কেন্দ্রে ক্ষমতায় ছিল ইউপিএ সরকার। সে সময় কাজের মান নির্ধারণের কোনও ব্যবস্থা ছিল না। তৎকালীন শাসকদল কংগ্রেসকে যে যত বেশি বখরা দিত, তারাই পেত কাজের দায়িত্ব। সনিয়া গান্ধীকেই এর জবাবদিহি করতে হবে।“
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৫ টা নাগাদ আচমকাই ভেঙে পড়ে দিল্লি বিমানবন্দরের এক নম্বর টার্মিনালের ছাদের একাংশ। ছাদের একাংশ ভেঙে পড়ায় এক নম্বর টার্মিনালে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়ি দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। এই ঘটনায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে এবং গুরুতর আহত হয়েছেন প্রায় ছ’জন।
এই ঘটনার পর কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী রাম মোহন নাইডু নিহতদের পরিবারের জন্য ২০ লক্ষ টাকা এবং আহতদের জন্য তিন লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন