

‘Your Money, Your Right’ আন্দোলনে দেশবাসীকে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দাবিহীন অর্থ - যেমন ব্যাংকে পড়ে থাকা টাকা, বিমার অর্থ, ডিভিডেন্ড ও মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগ সহজে ফেরত দেওয়ার লক্ষ্যে কেন্দ্র সরকার অক্টোবর মাসে এই উদ্যোগ চালু করে।
লিঙ্কডইনে এক পোস্টে প্রধানমন্ত্রী ভারতের দাবিহীন অর্থের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। তাঁর মতে, দেশের ব্যাংকগুলিতে ৭৮,০০০ কোটি টাকা দাবিহীন হিসেবে পড়ে আছে। বিমা কোম্পানিগুলির কাছে রয়েছে ১৪,০০০ কোটি টাকা। মিউচুয়াল ফান্ডে ৩,০০০ কোটি এবং ডিভিডেন্ড হিসেবে ৯,০০০ কোটি টাকা আজও দাবি করা হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লেখেন, “এই তথ্য অনেককে বিস্মিত করেছে। কারণ এই অর্থ দেশের অসংখ্য পরিবারের কঠোর পরিশ্রমের সঞ্চয় ও বিনিয়োগকে প্রতিনিধিত্ব করে।”
নাগরিকরা যাতে সহজ ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাঁদের অর্থ পুনরুদ্ধার করতে পারেন, সেই জন্য রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (RBI), ইন্সুরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (IRDAI), সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (SEBI) এবং কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক পৃথক পোর্টাল তৈরি করেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও জানান, দেশের ৪৭৭টি জেলায় এই উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যেই ‘ফ্যাসিলিটেশন ক্যাম্প’ আয়োজিত হয়েছে, এমনকি প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ক্যাম্প হয়েছে। এর মাধ্যমে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২,০০০ কোটি টাকা প্রকৃত মালিকদের কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছে।
পোস্টে নরেন্দ্র মোদী লেখেন, “যা আপনার, তা এখনই দাবি করুন এবং ফেলে রাখা সম্পদকে নতুন ভাবে কাজে লাগান। আপনার অর্থ আপনারই। চলুন, আমরা নিশ্চিত করি যেন এই অর্থ আপনার হাতে ফিরে আসে। একসঙ্গে আমরা তৈরি করি স্বচ্ছ, আর্থিকভাবে সক্ষম ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভারত।”
প্রধানমন্ত্রী নাগরিকদের অনুরোধ করেন দ্রুত নিজেদের বা পরিবারের নামে কোনো দাবিহীন টাকা রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে। সংশ্লিষ্ট পোর্টালে ভিজিট করা এবং জেলার ফ্যাসিলিটেশন ক্যাম্পগুলির সহায়তা নেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন