

জম্মু ও কাশ্মীরের সোনমার্গে জেড-মোড় টানেলের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার এই টানেলের উদ্বোধন করেন তিনি। জেড-মোড় টানেলের মাধ্যমে শ্রীনগর এবং লাদাখের মধ্যে নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ মাধ্যম গড়ে উঠবে। কমবে দূরত্বও। এছাড়া, এই টানেল উদ্বোধন হওয়ায় এবার থেকে সারাবছর সোনমার্গ খোলা থাকবে পর্যটকদের জন্য।
সোমবার টানেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণমন্ত্রী নীতিন গডকড়ি, জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা, লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা সহ অন্যরা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শেষে টানেল পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। নির্মাণকারী সংস্থার আধিকারিক এবং নির্মাণকাজে যুক্ত থাকা কর্মীদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।
ন্যাশনাল হাইওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল) দ্বারা তৈরি এই টানেলটি মধ্য কাশ্মীরের গান্ডারবাল জেলার কাঙ্গন শহরের সাথে সোনামার্গকে যুক্ত করেছে। এই টানেলটি লাদাখকে কাশ্মীরের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। সড়কপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে। এছাড়া লাদাখ অঞ্চলের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করবে।
প্রায় ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ সমগ্র সোনমার্গ টানেল প্রকল্পের জন্য ২,৭০০ কোটিরও বেশি টাকা ব্যয় হয়েছে। এই প্রকল্পের অংশ জেড মোড় টানেলের দৈর্ঘ্য ৬.৫ কিমি। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮,৬৫০ ফুট উচ্চতায় সেটি নির্মাণ করা হয়েছে। এর আগে শীতকালে তুষারপাতের জন্য বন্ধ থাকত সোনমার্গ। তবে এই টানেলের ফলে এবার থেকে সারাবছর পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে সোনমার্গ। খুব শিগগিরই এটি সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
সোনমার্গের বাসিন্দা ফায়াজ আহমেদের কথায়, “শীতে আমরা পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ি। এই প্রকল্প আমাদের সেই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেবে।”
২০১২ সালে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন দ্বারা শুরু হয়েছিল এই প্রকল্পটি। এরপর ২০১৯ সালে এনএইচআইডিসিএল প্রকল্পটি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে। ২০২৩ সালের আগষ্ট মাসের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, কিছু কারণবশত এটি দেরি হয়।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন