

সমাজমাধ্যমে বিশুদ্ধ জলের 'নকল যমুনা'-র ছবি ভাইরাল হতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছট পুজোর স্নান কর্মসূচী বাতিল করেছেন। এমনটাই দাবি করলেন আপ নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ। বিহার নির্বাচনের আগে বিজেপির পরিকল্পনা কাজে আসেনি বলে কটাক্ষও করেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর স্নানের জন্য পরিশ্রুত জল দিয়ে 'নকল যমুনা' তৈরি করা হয়েছে অভিযোগ তুলে দিল্লির বিজেপি সরকারের সমালোচনা করেছিলেন সৌরভ ভরদ্বাজ। ভিডিও প্রকাশ করে তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন আপ নেতা। কিন্তু মঙ্গলবার সেই ঘাটে স্নান করেননি প্রধানমন্ত্রী। আপের দাবি তাদের প্রকাশ করা ভিডিও-র কারণেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষের মুখে পড়ে শেষ মুহূর্তে স্নানের কর্মসূচী বাতিল করতে হয়েছে বিজেপিকে।
সৌরভ ভরদ্বাজ বলেন, "প্রধানমন্ত্রী মোদী বাসুদেব ঘাটে তৈরি করা "নকল যমুনা"-তে তাঁর ছট পূজা স্নান এবং সূর্য প্রণাম কর্মসূচী বাতিল করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা সরকারের দূষণ সংক্রান্ত জালিয়াতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রকাশিত হওয়ায় বিজেপি নেতৃত্ব বেশ লজ্জিত বলে মনে হচ্ছে।"
তিনি আরও বলেন, ভাবুন বিহার নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে ছট উদযাপনের ভিডিও এবং ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী। আমার মনে হয় একদম শেষ মুহূর্তে এই স্নানের পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে।
আগামী ৬ ও ১১ নভেম্বর বিহারে নির্বাচন। বিহারের সবথেকে বড় উৎসব হল ছট পুজো। বিহারী ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখেই যমুনাতে ছট পুজোর স্নানের পরিকল্পনা নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর জন্য যমুনার পাশেই 'বিশুদ্ধ জলের নকল যমুনা' তৈরি করা হয়েছিল।
এক্স মাধ্যমে এই কৃত্রিম যমুনা নদীর একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছিলেন সৌরভ ভরদ্বাজ। সৌরভ ভরদ্বাজ জানিয়েছিলেন, "বিগত কয়েক দিন ধরে বাসুদেব ঘাট থেকে যমুনাকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। মাঝে মাটির একটি সীমানা তৈরি করা হয়েছে। তবে বাসুদেব ঘাটের সামনের জল আর যমুনার জল সম্পূর্ণ পৃথক রয়েছে"।
বাসুদেব ঘাটের জল পরিশুদ্ধ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন আপ নেতা। সৌরভ বলেন, "গঙ্গার জল সনিয়া বিহারে পরিশুদ্ধ করা হয়। সেখান থেকে পরিশুদ্ধ পানীয় জল একটি সবুজ পাইপের মাধ্যমে এখানে আনা হয়েছে। এই ঘাটে যমুনার জল নেই, গঙ্গার পরিশুদ্ধ পানীয় জল রয়েছে। একপ্রকার চুরি করছে বিজেপি সরকার"।
যে ভিডিও শেয়ার করে কেজরিওয়াল লেখেন, 'দিল্লিতে বিজেপি ছট পুজোর আস্থা নিয়েও মজা করছে'।
সমাজমাধ্যমে এই ভিডিও এবং নকল যমুনা-র ছবি ব্যাপক ভাইরাল হয়। তীব্র কটাক্ষের মুখে পড়ে বিজেপি। এরপরই স্নানের পরিকল্পনা বাতিল করা হয় বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন