

বিহারে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে এখন চলছে বহিষ্কার পর্ব। গত কয়েকদিনে বিজেপি, হ্যাম, জেডিইউ থেকে বহিষ্কারের পর এবার আরজেডি থেকে দল বিরোধী কাজের অভিযোগে বহিষ্কৃত হলেন একসঙ্গে ২৭ জন নেতা। যাদের মধ্যে একাধিক বিধায়ক এবং দলের পদাধিকারী।
গতকাল ২৭ অক্টোবর আরজেডি-র পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এই ২৭ জনকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এঁদের মধ্যে আছেন দলের মহিলা শাখার সভাপতি ঋতু জয়সোয়ালও। যাকে মনোনয়ন না দেওয়ায় তিনি সীতামারি জেলার পারিহার কেন্দ্র থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এবার পারিহার কেন্দ্রে আরজেডি-র পক্ষ থেকে স্মিতা পূর্বেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
গত ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে তিনি শেওহর লোকসভা কেন্দ্র থেকে আরজেডি প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এনডিএ প্রার্থী লাভলী আনন্দের কাছে পরাজিত হন।
ঋতু জয়সোয়াল ছাড়াও গতকাল আরজেডি থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন সারন জেলার পারসা কেন্দ্রের বিধায়ক ছোটেলাল রাই। এছাড়াও প্রাক্তন বিধায়ক প্রকাশ মাহাতো, অনিল সাহানি, সরোজ যাদব, অনিল যাদব, গণেশ ভারতী এবং অন্যান্যরা বহিষ্কৃত হয়েছেন। এঁদের সকলেরই দলের প্রাথমিক সদস্যপদ খারিজ করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত হয়েছেন বর্তমান বিধায়ক মহম্মদ কামরানও। তিনি নওয়াদা জেলার গোবিন্দপুর কেন্দ্রের বর্তমান বিধায়ক।
আরজেডি-র পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে, ২০২৫ বিধানসভা নির্বাচনের মুখে এইসব নেতৃত্ব হয় পার্টি বিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন অথবা নিজেরা বিভিন্ন কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দলের ঘোষিত প্রার্থীর বিরোধিতা করায় দল এঁদের ছ’বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে।
আরজেডি থেকে বহিষ্কার পর্বের মাঝেই দলের মহিলা শাখার প্রাক্তন প্রধান প্রতিমা কুশওয়াহা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। গত শনিবার বিজেপিতে যোগ দিয়ে তিনি বলেন বিরোধী দলের নেতৃত্বের কাছে দলের তৃণমূল স্তরের কর্মীদের কোনও গুরুত্ব নেই।
বিজেপিতে যোগ দিয়ে কুশওয়াহা আরজেডি নেতৃত্বের সমালোচনা করে বলেন, “আরজেডি এখন আর লালু প্রসাদ যাদবের অধীনে আগের দল নেই। এখানে তৃণমূল স্তরের নেতাদের সম্মান করা হয় না এবং দল এবং নেতৃত্বাধীন পরিবার, বহু ভাগে বিভক্ত।”
বিহার বিজেপি সভাপতি দিলীপ জয়সোয়াল এই প্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, আরজেডি এবং কংগ্রেস স্বজনপোষণ ও বংশপরম্পরার রাজনীতির ভিত্তিতে চলে। সেই কারণেই কংগ্রেস ও আরজেডি থেকে বহু নেতা বিজেপিতে যোগদান করছেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন