
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) শতবর্ষ উপলক্ষ্যে ১০০ টাকার স্মারক মুদ্রা ও ডাকটিকিট প্রকাশ করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই প্রথমবারের মতো ভারতীয় মুদ্রায় স্থান হল ‘ভারত মাতা’ এবং স্বয়ংসেবকদের। যা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করছে কংগ্রেস, সিপিআইএম সহ অন্যান্য বিজেপি বিরোধী দলগুলি।
বুধবার দিল্লির আম্বেদকর আন্তর্জাতিক কেন্দ্রে মুদ্রাটি উন্মোচন করেন নরেন্দ্র মোদী। মুদ্রাটিতে আরএসএস-এর মূলমন্ত্র “রাষ্ট্রায় স্বাহা, ইদম্ রাষ্ট্রায়, ইদম্ ন মম”লেখা রয়েছে। যার অর্থ - “সবকিছু জাতির জন্য উৎসর্গিত, সবই জাতির, কিছুই আমার নয়”। এছাড়া প্রকাশিত ডাকটিকিটে ১৯৬৩ সালের প্রজাতন্ত্র দিবস প্যারেডে স্বয়ংসেবকদের অংশগ্রহণ চিত্রায়িত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী এই মুদ্রা প্রকাশ করে একে “অপরিসীম গৌরব ও ঐতিহাসিক তাৎপর্যের মুহূর্ত”বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, সংঘ সর্বদা “দেশ প্রথম”নীতিতে বিশ্বাস করেছে।
তবে এই মুদ্রা ও ডাকটিকিট প্রকাশ নিয়ে বিরোধীরা তীব্র সমালোচনা করেছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, আরএসএস স্বাধীনতা সংগ্রামে কোনো ভূমিকা রাখেনি। তারা সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ১৯৪৮ সালের লেখা চিঠি শেয়ার করে দাবি করেছে যে সংঘের কার্যকলাপের কারণেই দেশে মহাত্মা গান্ধীর হত্যার মতো করুণ ঘটনা ঘটেছিল।
সিপিআই(এম) এই মুদ্রা ও ডাকটিকিট প্রকাশকে সংবিধানের অপমান বলে সমালোচনা করেছে। তাদের মতে, ‘ভারত মাতা’র এই চিত্র আসলে হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রের প্রতীক। সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক এম এ বেবি জানান, “প্রধানমন্ত্রী আরএসএসের সাম্প্রদায়িক এজেন্ডাকে বৈধতা দিতে এবং ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামকে বিকৃত করতে তাঁর পদের অপব্যবহার করছেন”।
প্রসঙ্গত, ১৯২৫ সালে নাগপুরে কেশব বালিরাম হেডগেওয়ার আরএসএস প্রতিষ্ঠা করেন। সাংস্কৃতিক চেতনা, শৃঙ্খলা ও সেবামূলক কাজকে লক্ষ্য করে এই সংগঠন প্রতিষ্ঠা করা হয় বলেই সদস্যদের দাবি। এই সংগঠনের সঙ্গেই নরেন্দ্র মোদীর রাজনৈতিক জীবনের সূত্রপাত ঘটে। তিনি দীর্ঘদিন সংঘপ্রচারক ছিলেন।