Plane Crash: আহমেদাবাদের দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার, কীভাবে রহস্যভেদ করে এই যন্ত্র?

People's Reporter: নাম 'ব্ল্যাক বক্স' হলেও, এটি দুটি কমলা রঙের মেটালিক বক্স। যা এমনভাবে তৈরি করা হয়, যাতে ভয়াবহ দুর্ঘটনাতেও কিছু না হয়।
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবিছবি - সংগৃহীত
Published on

বৃহস্পতিবার আমেদাবাদের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে গোটা দেশ। কিন্তু কীভাবে হল লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার এআই-১৭১-এর ভয়াবহ দুর্ঘটনা, তার কারণ জানা যেতে পারে 'ব্ল্যাক বক্স' থেকে। এই মুহূর্তে জানা গেছে, আহমেদাবাদে আবাসিক ডাক্তারদের যে হোস্টেলে বিমানটি আঘাত হেনেছিল, তার ছাদ থেকে দুর্ঘটনার ২৭ ঘণ্টা পর তদন্ত ব্যুরো (AAIB) দল ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করেছে।

নাম 'ব্ল্যাক বক্স' হলেও, এটি আসলে দুটি কমলা রঙের মেটালিক বক্স। যা এমনভাবে তৈরি করা হয়, যাতে ভয়াবহ দুর্ঘটনাতেও এই যন্ত্রাংশের কোনও ক্ষতি না হয়। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ভিতরের শেষ কথা, সতর্কতামূলক অ্যালার্ম এবং উড়ানের পথের তথ্য - সবই সংরক্ষিত থাকে ব্ল‍্যাক বক্সে। যে কারণে যে কোনও বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে ব্ল্যাক বক্সের ভূমিকা।

ব্ল্যাক বক্স কী করে?

ব্ল্যাক বক্স-এ দুটি আলাদা আলাদা ডিভাইস থাকে। যার একটি হল ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার এবং অন্যটি হল ককপিট ভ্যেস রেকর্ডার।

১) ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (FDR): এই বক্সে বিমানের দিকনির্দেশ, উচ্চতা, জ্বালানি, গতি, টার্বুল্যান্স ও কেবিনের ভিতরের নানা তথ্য সংরক্ষিত হয়ে যায়।

২) ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (CVR): এই বক্সটি বিমান ধ্বংসের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বিমানের মধ্যে ঘটে যাওয়া যাবতীয় শব্দ রেকর্ড করে।

একসঙ্গে এই রেকর্ডারগুলি প্রায় ২৫ ঘণ্টা ধরে ৮০ ধরনের বিভিন্ন ডেটা রেকর্ড করতে পারে এবং সর্বশেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ভয়েস রেকর্ডিং সংরক্ষণ করতে পারে। সাধারণভাবে শেষ দু'ঘণ্টার সমস্ত রেকর্ডিং এতে সংরক্ষিত হয়ে যায়। ফলে দুর্ঘটনার সময়ের তথ্য এতে সংরক্ষিত হয়ে যায়।

দুর্ঘটনার পর এটি কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?

বিমান দুর্ঘটনা মানে ধ্বংসাবশেষ। কোনও বিমান দুর্ঘটনার মুখোমুখি হলে, তা ঠিক কী কারণে হয়েছিল, তদন্তকারীদের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। দুর্ঘটনার আগের মুহূর্তে কী ঘটেছিল, তাও বোঝা সম্ভব নয়। তখনই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে ব্ল্যাক বক্সের ভূমিকা। তাই এই ‘ব্ল‍্যাক বক্স’ রাখা হয় বিমানে। যাতে দুর্ঘটনা পরবর্তী সময়ে বিমান দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যেতে পারে এবং ভবিষ্যতে অনুরূপ ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। এমনকি ছোট বিমানের ক্ষেত্রেও ব্ল্যাক বক্স রাখা হয়।

দুর্ঘটনার পর কীভাবে অক্ষত থাকে ব্ল্যাক বক্স?

ব্ল্যাক বক্সগুলো স্থাপন করা হয় বিমানের লেজের অংশে। যে অংশটি দুর্ঘটনায় অক্ষত থাকার সম্ভাবনা বেশি। ব্ল্যাক বক্স এমনভাবেই তৈরি করা হয় যাতে এটি -

১,১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত এক ঘন্টার জন্য তাপ সহ্য করতে পারে।

২০,০০০ ফুট জলের নিচে জলের চাপ সহ্য করতে পারে

৩,৪০০ গ্রাম তাপমাত্রার প্রভাব থেকে বেঁচে থাকতে পারে

তদন্তকারী দলকে শনাক্তকরণে সাহায্য করার জন্য, ব্ল্যাক বাক্স ৩০ দিনের জন্য জলের নিচে থেকেও লোকেটার সিগন্যালও দেয়। যা অনেক দূর পর্যন্ত অনুভূত হয়।

ব্ল্যাক বক্স কি ডিকোড করা সহজ?

ব্ল্যাক বক্স ডিকোড করতে উন্নত সরঞ্জামের প্রয়োজন হয়। পাশাপাশি ক্ষতির উপর নির্ভর করে ডিকোড করতে কত সময় লাগবে। এই ডিকোডিং-এ কখনও সপ্তাহ আবার কখনও কখনও এক মাসও সময় লাগতে পারে।

তথ্য সুরক্ষা নির্দেশিকা জারি করতে, বিমানের নকশা উন্নত করতে এবং পাইলট প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আপডেট করতে ব্ল্যাক বক্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

Keywords: Plane Crash in Ahmedabad, Black Box Recovered, Accident Investigation, Flight Mystery

প্রতীকী ছবি
India-Iran: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে সঞ্চালকের অবমাননাকর মন্তব্য - কূটনৈতিক বিতর্ক
প্রতীকী ছবি
Iran-Israel Conflict: অশান্ত মধ্যপ্রাচ্য, ইরানের বৃহত্তম পারমাণবিক ঘাঁটিতে বিমান হামলা ইজরায়েলের!

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in