
আহমেদাবাদের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় সব যাত্রীর মৃত্যু কথা শোনা গেলেও অবিশ্বাস্যভাবে বেঁচে ফিরেছেন ৪০ বছর বয়সী বিশ্বাস কুমার রমেশ। যিনি ইংল্যান্ডের নাগরিক এবং ভাইকে সঙ্গে নিয়ে ভারতে ঘুরতে এসেছিলেন। এদিনই দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানে তাঁরা লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। যদিও কুমার রমেশ বেঁচে গেলেও তাঁর ভাই অজয় কুমারের এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতাল থেকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রমেশ জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিমান উড়ান শুরু করার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রথমে তীব্র আওয়াজ হচ্ছিল এবং যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। এরপরেই আমি নিজেকে বহু মৃতদেহর মধ্যে দেখতে পাই এবং দ্রুত দৌড়োতে শুরু করি। এইসময় কেউ আমাকে ধরে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দেয়।
আহমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার জি এস মালিক জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের একজন মাত্র যাত্রী বেঁচে আছেন। তাঁর সিট নম্বর ছিল ১১এ। তিনি সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে জানিয়েছেন এখনও পর্যন্ত ২০৪ জনের দেহ উদ্ধার করা গেছে।
আসারওয়া সিভিল হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন প্রায় অক্ষত অবস্থায় দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে গেছেন বিশ্বাস কুমার রমেশ। এমনকি তাঁর বোর্ডিং পাসটিও অক্ষত আছে। যদিও তাঁর বুকে সামান্য আঘাত লেগেছে।
দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরা রমেশ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিনি গত দু’দশক ধরে লন্ডনের বাসিন্দা। তাঁরা ভারতে ঘুরতে এসেছিলেন এবং গুজরাট সীমান্ত অঞ্চলে দিউ ভ্রমণ শেষে তাঁরা বাড়ি ফিরছিলেন।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানে আরোহীদের মধ্যে ছিলেন গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা বিজয় রূপানি, ৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক, ৭ জন পর্তুগালের নাগরিক এবং ১ জন কানাডিয়ান নাগরিক। বাকি যাত্রীরা সকলেই ভারতীয় নাগরিক।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন পাইলট সুমিত সাবরাওয়াল, যার প্রায় ৮,২০০ ঘন্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল এবং তার সহ-পাইলট ক্লাইভ কুন্ডার, যার ১,১০০ ঘন্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল। বিমানের দুই সিনিয়র কেবিন ক্রু ছিলেন শ্রদ্ধা ধাওয়ান এবং অপর্ণা মহাদিক। অন্যান্য কেবিন ক্রু সদস্যরা হলেন সাইনিতা চক্রবর্তী, এনগান্থোই কংব্রাইলতপাম শর্মা, দীপক পাঠক, মৈথিলি পাতিল, ইরফান শেখ, ল্যামনুনথেম সিংসন, রোশনি সোনঘরে রাজেন্দ্র এবং মনীষা থাপা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন