বুধবার সংসদের অধিবেশন চলাকালীন সংসদে ঢুকে পড়ার ঘটনায় ৬ জন জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে এক মহিলা সহ চার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশ সূত্রে একথা জানা গেছে। ওই সূত্র থেকেই দাবি করা হচ্ছে তারা একে অপরের পরিচিত ছিল। ঘটনায় পঞ্চম অভিযুক্ত হিসেবে সামনে এসেছে ললিত ঝা-র নাম এবং ষষ্ঠ ব্যক্তির নাম জানা যায়নি। যদিও এখনও পর্যন্ত শেষ দু’জনের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সূত্র অনুসারে, ঘটনায় ধৃত সাগর শর্মা (২৭) পেশায় ই-রিক্সা চালক। তার বাবার নাম শঙ্করলাল শর্মা। তিনি লখনউ আলমবাগ অঞ্চলে থাকেন। পুলিশ সাগর শর্মা আধার কার্ড থেকে ঠিকানা সংগ্রহ করে ওই বাড়িতে যায় এবং পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
পুলিশের অন্য এক সূত্র অনুসারে, “ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত তারা একে অপরকে চেনেন বলে অস্বীকার করেছেন। তাদের মধ্যে যোগাযোগের সূত্র খুঁজে পেতে তাদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।”
শেষ পাওয়া খবর অনুসারে গ্রেপ্তার হওয়া চারজনের মধ্যে দুজনকে এখনও সংসদ চত্বরে আটকে রাখা হয়েছে এবং বাকি দুজনকে সংসদ স্ট্রিট থানায় আটক রয়েছে। জানা গেছে, অভিযুক্ত ললিত ঝা-র গুরগাঁও-এর বাড়িতে এই পাঁচ জন থাকতেন।
বুধবার সংসদ চলাকালীন দর্শকদের গ্যালারি থেকে লোকসভা হলে যে দুই ব্যক্তি প্রবেশ করেন তাদের নাম যথাক্রমে মনোরঞ্জন কুমার এবং সাগর শর্মা। এই দু’জনেই মহীশূরের বাসিন্দা। অন্য একটি সূত্র অনুসারে সাগর শর্মার বাড়ি উত্তরপ্রদেশে।
মনোরঞ্জন কর্ণাটকের একজন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র। কর্ণাটকের মহীশূরের বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমার সুপারিশে এই দু’জনকে ভিজিটর পাস দেওয়া হয়।
এই ঘটনায় জড়িত অন্য দু’জনের মধ্যে একজন পুরুষ এবং একজন মহিলা। সংসদের বাইরে রঙিন স্প্রে নিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর সময় দিল্লি পুলিশ তাদের আটক করে। এরা হরিয়ানার হিসারের বাসিন্দা নীলম দেবী এবং মহারাষ্ট্রের লাতুরের বাসিন্দা অমল শিন্দে।
তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “আটক করার সময় এই দু’জনের কাছে কোনো মোবাইল ফোন বা পরিচয়পত্র ছিল না। এই দু’জন জোরের সঙ্গে জানিয়েছে যে সংসদে তারা স্বেচ্ছায় এসেছিলেন এবং কোনও সংগঠনের সঙ্গে তারা যুক্ত নন।
লোকসভার স্পীকার ওম বিড়লা এই ঘটনাকে ‘গুরুতর নিরাপত্তা ভঙ্গ’ বলে অভিহিত করেছেন। এদিন এই ঘটনার পরেই সংসদের অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয়। এই ঘটনার পরেই সংসদ কক্ষে সাংসদদের ব্যক্তিগত সচিবের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
অন্যদিকে লোকসভায় এই ঘটনার পরে রাজ্যসভায় কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইন্ডিয়া মঞ্চভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বিবৃতি দাবি করা হয়। যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সেই দাবিতে সহমত পোষণ না করায় ইন্ডিয়া মঞ্চভুক্ত সমস্ত বিরোধীরা অধিবেশন থেকে ওয়াক আউট করেন।
- with inputs from IANS
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।