
পেট্রোলে ইথানল মিশ্রণ (ই-২০ ব্লেন্ডিং) নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলা কটাক্ষ বা নেগেটিভ প্রচারকে টাকার বিনিময়ে প্রচার বা ‘পেইড ক্যাম্পেইন’ বলে কটাক্ষ করলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গডকড়ি (Nitin Gadkari)। তাঁর দাবি, এইভাবে অপপ্রচার চালিয়ে তাঁকে রাজনৈতিকভাবে পরাস্ত করার পরিকল্পনা চলছে।
এক অটোমোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থার বার্ষিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে গডকড়ি বলেন, গাড়ি নির্মাতা সংস্থা এবং অটোমোটিভ রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (এআরএআই) ইতিমধ্যেই ইথানল মিশ্রণের ফলাফল জানিয়ে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “আপনাদের শিল্প যেমন চলে, তেমনই চলে রাজনীতি। সামাজিক মাধ্যমে যে প্রচার চলছে, তা টাকা খরচ করে চালানো হয়েছে; আমাকে রাজনৈতিকভাবে টার্গেট করার জন্য। এতে কোনও বাস্তবতা নেই।"
অর্থনৈতিক সুবিধার দিকটি তুলে ধরে গডকড়ি বলেন, "ভারত বিপুল অঙ্কের অর্থ খরচ করে জীবাশ্ম জ্বালানি আমদানি করে। আমরা ভুট্টা থেকে ইথানল তৈরি করেছি। এই পদক্ষেপে কৃষকরা ৪৫ হাজার কোটি টাকা লাভবান হয়েছেন।"
দূষণ প্রসঙ্গেও তিনি সতর্ক করেন। গডকড়ির কথায়, “বিশ্ব একমত যে দূষণ কমাতে হবে। এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, দিল্লিতে যদি বর্তমান মাত্রার দূষণ চলতে থাকে তবে সেখানকার বাসিন্দাদের গড় আয়ু প্রায় ১০ বছর কমে যাবে।”
উল্লেখ্য, ই-২০ পেট্রোল হলো ৮০ শতাংশ পেট্রোল ও ২০ শতাংশ ইথানলের মিশ্রণ। সরকার একে কার্বন নিঃসরণ ও জীবাশ্ম জ্বালানি আমদানি কমানোর বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে। যদিও অনেক গাড়ি মালিকের অভিযোগ, ই-২০ পেট্রোল ব্যবহারে জ্বালানি খরচ বেড়ে যাচ্ছে, মাইলেজ কমছে এবং গাড়ির আয়ু কমে যাচ্ছে।
তবে এই দাবি খারিজ করে দিয়েছে কেন্দ্র। সরকারের মতে, মাইলেজ কেবল জ্বালানির ধরণের ওপর নির্ভর করে না, বরং চালকের উপর, গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ, টায়ারের চাপ, এয়ার কন্ডিশনের ব্যবহারসহ নানা বিষয়য়ের উপর সমানভাবে নির্ভরশীল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন