

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে চলমান বিতর্কের মাঝেই এশিয়া কাপে দুই প্রতিপক্ষের ম্যাচকে সমর্থন করলেন কংগ্রেস সাংসদ কার্তি চিদম্বরম। সম্প্রতি ঘোষিত এশিয়া কাপ ২০২৫ সূচি অনুযায়ী ভারত ও পাকিস্তান মুখোমুখি হবে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর। এই ম্যাচ খেলা নিয়ে ইন্ডিয়া মঞ্চের অনেকেই আপত্তি জানাচ্ছেন। কিন্তু কার্তি চিদম্বরম ম্যাচের পক্ষেই সওয়াল করলেন। যা নিয়ে অস্বস্তিতে কংগ্রেস।
জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও হামলার পর থেকে পাকিস্তানের সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। এমনকি ময়দানেও পাকিস্তান ম্যাচ বয়কটের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু চিদম্বরম বলেন, "খেলাধূলা একতরফা হয় না, এটা জটিল বিষয়। আর এটা কোনও দ্বিপাক্ষিক ম্যাচ নয়। আবার আমরা টুর্নামেন্ট থেকেও ওয়াকওভার দিতে পারি না। আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে আপনার সাথে যে দেশের সম্পর্ক ভালো নয় সেই দেশের বিরুদ্ধেও আপনাকে খেলতে হয়"।
ভারত ও পাকিস্তানকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ও ওমানের সাথে একই গ্রুপে রাখা হয়েছে। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর দু’দলের প্রথম ম্যাচ হওয়ার কথা, এরপর সুপার ফোর পর্যায়ে ২১ সেপ্টেম্বর আবারও মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি দুই দল ফাইনালে ওঠে তবে এক মাসের মধ্যে তিনবার মুখোমুখি হতে পারে এশিয়ার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী।
তবে এরই মধ্যে বিসিসিআই-এর সমালোচনা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক শিবিরে প্রশ্ন উঠছে সন্ত্রাসবাদে মদতদাতা একটি দেশের বিরুদ্ধে ভারত কিভাবে মাঠে নামবে? এই পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেসের অভ্যন্তরেও দেখা দিয়েছে মতভেদ।
কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা মনীশ তিওয়ারি প্রকাশ্যে তাঁর ক্ষোভের কারণ জানান। তিনি মনে করেন, এই মুহূর্তে পাকিস্তানের সঙ্গে যেকোনও ধরনের সম্পর্ক, ক্রীড়া বা সাংস্কৃতিক - ‘নৈতিক ভাবে প্রশ্নবিদ্ধ’।
চিদম্বরম তিওয়ারির বক্তব্য সম্পর্কে বলেন, “মনীশ আমার প্রিয় বন্ধু। আমি নিশ্চিত সে জানে সে কী করছে। তবে আমি তার ট্যুইট দেখিনি।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের মন্তব্য আসলে কংগ্রেসের মধ্যে দুইটি ভিন্ন মতবাদকে তুলে ধরছে। একটি কৌশলগতভাবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার পক্ষপাতী, আরেকটি বাস্তবমুখী, যেখানে কূটনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে সঙ্গে ক্রীড়া সম্পর্ক সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন রাখা সম্ভব নয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এটি কেবল একটি ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে মতভেদের প্রশ্ন নয়, বরং বৃহত্তরভাবে কংগ্রেস দলের অভ্যন্তরীণ নেতৃত্ব, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া এবং রাজনৈতিক অবস্থানের স্পষ্টতার অভাবকে সামনে নিয়ে এসেছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন