
কর্ণাটকে ২০১১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১,০২২টি আর্থিক জালিয়াতির মামলা দায়ের হয়েছে। যার মধ্যে বেঙ্গালুরুতেই ৫৮৭টি মামলা হয়েছে। এসব জালিয়াতি মূলত নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক সংস্থা, ছোট চিট ফান্ড, এবং প্রতারণামূলক বিনিয়োগ স্কিমকে কেন্দ্র করে ঘটেছে।
আর্থিক জালিয়াতির মামলায় বেঙ্গালুরুর পরেই রয়েছে মহীশূর শহর। সেখানে ৭৯টি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। কোড়াগুতে ৪১টি এবং মহীশূর জেলাতে ২৫টি মামলা নথিভুক্ত হয়। ডেকান হেরাল্ডে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়েছে।
গত ১৩ বছরে সবথেকে বড় জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে ২০১৮ সালে। ওই বছর বেঙ্গালুরু TGS Construction, Dreamz Infra, Vihan Direct Selling এবং Vikram Investments-র সাথে জড়িত জালিয়াতি আর্থিক কেলেঙ্কারির সাক্ষী ছিল। বিশেষত, বিক্রম ইনভেস্টমেন্টস পঞ্জি স্কিমে ২,৪২০ জন বিনিয়োগকারী প্রতারিত হন, যাঁদের মধ্যে প্রাক্তন ক্রিকেটার রাহুল দ্রাবিড় এবং ব্যাডমিন্টন তারকা প্রকাশ পাড়ুকোনও ছিলেন। ২০১৮ সালে ১০৬টি মামলা দায়ের হয় এবং ২০২১ সালে ১০০টি আর্থিক জালিয়াতির মামলা দায়ের হয়।
২০১৯ সালে চালু হওয়া Banning of Unregulated Deposit Schemes (BUDS) আইন এবং CID-এর সক্রিয় ভূমিকার জেরে জালিয়াতির ঘটনা কমতে শুরু করে।
সিআইডি'র ডিজিপি এম এ সেলিম জানান, জনসচেতনতা বৃদ্ধির কারণে জালিয়াতির ঘটনা কমেছে। তবে মহামারীর সময় অর্থনৈতিক মন্দার কারণে ২০২১ সালে আর্থিক প্রতারণা বেড়ে যায়। সিআইডি বর্তমানে ৬৫৩টি মামলার তদন্ত করছে এবং বাকি মামলাগুলির তদন্ত ভার রয়েছে কর্ণাটক পুলিশের উপর।
২০২১ সালে ৪৩টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ছোট আর্থিক সংস্থার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়। ওই বছর বশিষ্ঠ ক্রেডিট সৌহার্দা সহকারী লিমিটেড কেলেঙ্কারির মতো মামলাগুলি সামনে আসে। শুধুমাত্র বশিষ্ঠ ক্রেডিট সৌহার্দা সহকারী লিমিটেড কেলেঙ্কারির পরিমাণ ছিল প্রায় ২৬০ কোটি টাকা। এছাড়া পপুলার ফাইন্যান্স কেলেঙ্কারির মতো ঘটনাগুলিও ঘটেছিল ২০২১ সালে। প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ সত্ত্বেও, জালিয়াতি মোকাবিলায় এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন