সোমবার থেকে শুরু হয়েছে অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশন। আর অধিবেশন শুরুর দিনই সংবিধান বাঁচানোর দাবি তুলে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখান বিরোধী সাংসদের একাংশ। সংবিধান হাতে নিয়ে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়্গে, তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়, সমাজবাদী পার্টির ডিম্পল যাদব, ডিএমকে-র কানিমোঝিরা।
সোমবার থেকে শুরু হয়েছে অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশন। অধিবেশনের প্রথম তিনদিন শপথ নেবেন সাংসদেরা। এরপর বৃহস্পতিবার হবে স্পিকার নির্বাচন। সংসদের প্রোটেম স্পিকারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কটকের বিজেপি সাংসদ ভর্তৃহরি মহতাবকে। এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।
বিরোধীদের দাবি, সবচেয়ে বেশি বার জিতে আসা সাংসদ কংগ্রেসের কে সুরেশকে ওই দায়িত্ব কেন দেওয়া হল না। এই নিয়ে মতান্তরের জেরে সংসদে শপথগ্রহণের অনুষ্ঠান বয়কট করার কথা জানান ডিএমকে-র দলনেতা টিআর বালু, কংগ্রেসের কে সুরেশ এবং তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। অবশ্য বিরোধী সাংসদের একাংশ সংসদের ভিতরেই ছিলেন।
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান যখন সাংসদ হিসাবে শপথ নিচ্ছেন, তখন বিরোধী বেঞ্চ থেকে ‘নিট-নিট’ বলে স্লোগান ওঠে। উল্লেখ্য, নেট-নিটে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে পরীক্ষা বাতিল নিয়ে চলতি অধিবেশনে সরব হওয়ার কথা আগেই জানিয়েছে বিরোধী শিবির।
প্রসঙ্গত, সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে মোদী সরকার তৃতীয় বারের জন্য সরকার গঠন করলেও পায়নি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা। মোদীকে ভরসা রাখতে হয়েছে শরীক শিবিরের উপর। আর এ নিয়ে প্রথম থেকেই মোদী সরকারকে আক্রমণ করছে বিরোধীরা।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন