প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে নয়া আইন আনলো কেন্দ্র সরকার। এই আইনে দোষী সাব্যস্ত হলে অপরাধীর ১০ বছর জেল এবং ১ কোটি তাকা পর্যন্ত জরিমানাও হতে পারে।
দেশজুড়ে নীট, নেট সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস হওয়ার জেরে পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। নীটের প্রশ্নফাঁস তদন্ত এখনও চলছে। ইউজিসি নেট পরীক্ষার একদিনের মধ্যেই সেই পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করা হলো। প্রতিবাদে দিল্লির রাজপথে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনগুলি। এরই মধ্যে শুক্রবার মধ্যরাতে প্রশ্নফাঁস রুখতে নতুন আইন আনলো কেন্দ্র।
ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সম্মতিতে শুক্রবার কেন্দ্রের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। আইনটির নাম হলো পাবলিক এক্সামিনেশন (প্রিভেনশন অফ আউনফেয়ার মিনস) অ্যাক্ট, ২০২৪।
আইনে বলা হয়েছে, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করা বা উত্তরপত্রে কারচুপি করা ব্যক্তিদের জন্য ন্যূনতম ৩ বছরের জেল হতে পারে। সেটা ৫ বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি হতে পারে। ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত্য জরিমানাও হতে পারে। এছাড়া এই আইনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অ-জামিনযোগ্য ধারায় মামলা হবে। ফলে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট ছাড়াই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা যাবে।
পাশাপাশি আইনে জানানো হয়েছে, সংগঠিত অপরাধ প্রমাণ হলে অভিযুক্তদের আরও কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। কোনও প্রতিষ্ঠানের আধিকারিকরা ইচ্ছাকৃতভাবে এই কাজের সাথে যুক্ত থাকেন তাহলে তাঁদের ন্যূনতম ৩ বছরের জেল যার মেয়াদ ১০ বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে। পাশাপাশি ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানাও হতে পারে। পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সংস্থার কর্তা যদি যুক্ত থাকেন তাহলে ন্যূনতম ৫ বছরে জেল হতে পারে এবং ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হতে পারে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন