
পহেলগাঁও হামলার পরও জঙ্গি দমনের জন্য কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি পাকিস্তানের পক্ষ থেকে। বরং জঙ্গিদের বাঁচাতে ব্যস্ত ইসলামাবাদ। এমনকি তদন্তে পাকিস্তানের সঙ্গে সন্ত্রাসী হামলার যোগসূত্র মিলেছে। তাই নিজেদের রক্ষা করার জন্য পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জায়গায় জঙ্গি দমন অভিযান চালিয়েছে ভারত। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর দিল্লি থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে এই কথায় জানালেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গী হানায় ২৬ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যুর ১৪ দিন পর বুধবার মধ্যরাতে এই আঘাত হানা হয়েছে। এরপর বুধবার সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। তিনি দাবি করেন, পহেলগাঁও হামলার দায় নিয়েছে লস্কর-ই-তইবার ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট, যাদের বাঁচাতে বারবার আন্তর্জাতিক মহলে সক্রিয় হয়েছে পাকিস্তান। এমনকি পহেলগাঁও হামলার পর তদন্তে পাকিস্তানের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীদের যোগসূত্রের প্রমাণ মিলেছে।
সাংবাদিক বৈঠকে বিক্রম জানান, ৩৭০ ধারা বিলুপ্তির পর ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছিল জম্মু-কাশ্মীর। সেখানে অর্থনীতির মূল ভিত্তি হল পর্যটন শিল্প। কিন্তু কাশ্মীরের সেই বিকাশকে রুখে দিতেই এই হামলা। বেছে বেছে পর্যটকদের উপর হামলা হয়েছে। এমনকি জঙ্গিরা সাফ জানিয়েছিল, এই হামলার খবর যেন প্রধানমন্ত্রীর কানে পৌঁছায়। এই আক্রমণের লক্ষ্য ছিল জম্মু ও কাশ্মীরের সামাজিক পরিস্থিতিকে বিঘ্নিত করা।
বিক্রম মিস্রির কথায়, “সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণকারী আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি ইঙ্গিত দিয়েছে যে ভারতে আরও আক্রমণ হতে পারে। সেই হামলাগুলি বন্ধ করা এবং মোকাবিলা করা উভয়ই অপরিহার্য বলে মনে করা হয়েছিল। তাই ভারত নিজেকে রক্ষার জন্য পদক্ষেপ করেছে”।
এদিন বৈঠকে বিক্রম মিস্রির সাথে উপস্থিত ছিলেন দুই মহিলা আধিকারিক - উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিংহ এবং কর্নেল সোফিয়া কুরেশি। কোথায় কোথায় কেন হামলা চালানো হয়েছে, তার তালিকা দেন ব্যোমিকা, সোফিয়ারা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন