

মঙ্গলবার লোকসভায় গুরুত্বপূর্ণ বিল পেশের সময় প্রথম সারির বেশ কিছু সাংসদের অনুপস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে খোদ বিজেপির অন্দরেই। বিজেপির এই অনুপস্থিত হেভিওয়েট নেতাদের তালিকায় নাম আছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, গিরিরাজ সিং, সি আর পাতিল প্রমুখের।
সূত্র অনুসারে, গতকাল ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভোটাভুটির সময় একাধিক বিজেপি সাংসদ অনুপস্থিত ছিলেন। যে কারণে বিলের জন্য প্রয়োজনীয় দুই তৃতীয়াংশ ভোট জোগাড় করতে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি তথা এনডিএ শিবির। যদিও ভোটাভুটিতে মোট ৪৬১ ভোটের মধ্যে শাসকের পক্ষে ভোট পড়েছে ২৬৯ এবং বিরোধীদের পক্ষে ভোট পড়েছে ১৯৮।
সূত্র অনুসারে, গতকাল অনুপস্থিত বিজেপি সাংসদদের তালিকায় নাম আছে শান্তনু ঠাকুর, জগদম্বিকা পাল, বি ওয়াই রাঘবেন্দ্র, বিজয় বাঘেল, উদয়শ্রী ভোসলে, জগন্নাথ সরকার, জয়ন্ত কুমার রায়, ভি সোমান্না, চিন্তামণি মহারাজ প্রমুখ। যদিও এই সাংসদরা দলকে জানিয়ে অনুপস্থিত ছিলেন অথবা না জানিয়েই তা এখনও জানা যায়নি।
গতকাল ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন বিল সংসদে পেশ করার সময় বিরোধীরা প্রবল আপত্তি জানায়। যার জেরে বিরোধীদের ডিভিশনের দাবি মেনে ভোট-এ যাওয়া হয়। ভোট হয় ই-ভোটিং এবং পেপার স্লিপের মাধ্যমে। এই ভোটের আগেই দলীয় সাংসদদের জন্য তিন লাইনের হুইপ জারি করে বিজেপি। যেখানে সাংসদদের উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার লোকসভায় ‘কনস্টিটিউশন (ওয়ান হান্ড্রেড অ্যান্ড টুয়েন্টি নাইনথ অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল’ (Constitution (One Hundred and Twenty Ninth Amendment) Bill) পেশ করা হয়। বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘাওয়াল।
এই বিলে একইসাথে লোকসভা এবং বিভিন্ন বিধানসভার নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও ইউনিয়ন টেরিটরিস ল’জ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২৪ (Union Territories Laws (Amendment) Bill, 2024) নামের আরও একটি বিল আনার কথা বলা হয়েছে। যে বিলে জম্মু ও কাশ্মীর, পুদুচেরি এবং দিল্লির নির্বাচন একসঙ্গে করার কথা বলা হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস জানিয়েছে, সংবিধান সংশোধনী বিল পাস হতে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন। কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর বলেন, “নিঃসন্দেহে সরকারের পক্ষে আরও বেশি সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে... কিন্তু এটি (সংবিধান সংশোধনের বিল) পাস করার জন্য দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন, যা স্পষ্টতই তাদের নেই।” তিনি আরও বলেন, “এটাও স্পষ্ট যে এই বিষয় নিয়ে তারা বেশিক্ষণ লড়াই চালাতে পারবে না।”
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন