
২৬৯-১৯৮ ভোটে লোকসভায় পেশ হল ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন বিল। এদিনই লোকসভায় ‘কনস্টিটিউশন (ওয়ান হান্ড্রেড অ্যান্ড টুয়েন্টি নাইনথ অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল’ (Constitution (One Hundred and Twenty Ninth Amendment) Bill) পেশ করা হয়। যে বিলে একইসাথে লোকসভা এবং বিভিন্ন বিধানসভার নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও ইউনিয়ন টেরিটরিস ল’জ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২৪ (Union Territories Laws (Amendment) Bill, 2024) নামের আরও একটি বিল আনার কথা বলা হয়েছে। যে বিলে জম্মু ও কাশ্মীর, পুদুচেরি এবং দিল্লির নির্বাচন একসঙ্গে করার কথা বলা হচ্ছে।
এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করে কংগ্রেস। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়, আমাদের সংবিধানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো যুক্তরাষ্ট্রীয়তা এবং আমাদের গণতন্ত্রের কাঠামো। মাননীয় আইন ও বিচারমন্ত্রী কর্তৃক উত্থাপিত বিলগুলি সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর উপর আঘাত হানে এবং এই সংসদের আইন প্রণয়নের ক্ষমতা অতিক্রম করে।
এদিন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী হর্ষ অর্জুন রাম মেঘাওয়াল লোকসভায় এই বিল পেশ করার সময় তুমুল হট্টগোল হয়। প্রবলভাবে এই বিলের বিরোধিতা করে কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধীরা। এর পরে বিরোধীদের দাবি মেনে ডিভিশন-এর দাবি মেনে ভোটিং-এ যাওয়া হয়। পরে ই-ভোটিং-এবং পেপার স্লিপের মাধ্যমে এই বিল পেশ হয়।
ই-ভোটিং-এ বিলের পক্ষে ভোট পড়ে ২৬৯ এবং বিলের বিপক্ষে ভোট পড়ে ১৯৮। এই প্রথম নতুন লোকসভায় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং ব্যবহৃত হল। এই বিল গৃহীত হবার পরেই বিকেল ৩টে পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয়।
লোকসভায় কংগ্রেসের মনীশ তিওয়ারি, সমাজবাদী পার্টির ধর্মেন্দ্র যাদব, তৃণমূল কংগ্রেসের কল্যাণ ব্যানার্জি এবং তামিলনাড়ুর দ্রাবিড় মুন্নাত্রা কাজাঘামের টিআর বালু এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন।
মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা গোষ্ঠী এবং শরদ পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি গোষ্ঠী, পাশাপাশি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) এবং ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগ সহ আরও কয়েকটি দলও এর বিরোধিতা করে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন