
এটি কোনও সাধারণ মামলা নয়! নাবালিকা ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করার সময় এমনই পর্যবেক্ষণ করল দিল্লি হাইকোর্ট। অভিযুক্ত নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন এবং তাঁর দাবি, প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।
গত ১৭ মার্চ এক নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। অভিযোগে নাবালিকা জানিয়েছেন, তার মামার বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। এরপর বিবাহের আশ্বাস দিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করেন অভিযুক্ত। এমনকি মেয়েটি গর্ভবতীও হয়ে পড়েন। অভিযোগ, পরে ফোন করে মেয়েটিকে বিয়ে করতে এবং বাচ্চাটির পরিচয় দিতে অস্বীকার করেন অভিযুক্ত।
বৃহস্পতিবার শুনানি চলাকালীন অভিযুক্তের আইনজীবি আদালতে জানান, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে। মেয়েটি বাংলাদেশ থেকে আসা এক অবৈধ অভিবাসী। তার জন্ম শংসাপত্র পৌরসভা কর্তৃক প্রমাণিত হয়নি। মেয়েটির দুই মামাই জন্ম শংসাপত্র এবং পাসপোর্ট জালিয়াতির একাধিক মামলায় জড়িত। তাদের বিরুদ্ধেও মামলা চলছে।
শুনানিতে নিজের রক্ত পরীক্ষা করানোর জন্য রাজি হয়েছেন অভিযুক্ত। এমনকি আগাম জামিন মঞ্জুরের বিরোধিতা করেননি সরকারি পক্ষের আইনজীবীও।
ঘটনাটি ঘটার ১৪ মাস পর এফআইআর দায়ের এবং নির্যাতিতার জন্ম শংসাপত্র সনাক্ত না করতে পারার ফলে অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করেছেন বিচারপতি গিরিশ কাঠপালিয়া। তিনি জানান, "এটি কোনও সাধারণ মামলা নয় যেখানে অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনা করে অভিযুক্তকে আগাম জামিন দিতে অস্বীকার করা হবে"।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন