

দিল্লি বিস্ফোরণের সাথে যুক্ত থাকা কাউকে ছাড়া হবে না। তদন্তকারী সংস্থাগুলি ষড়যন্ত্রের শিকড় পর্যন্ত যাবে। ভুটানের মাটি থেকে হুঁশিয়ারি দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সোমবার সন্ধ্যায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে রাজধানী। ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেই খবর। জঙ্গি যোগের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি। আর ভুটান সফরে গিয়ে বিস্ফোরণের সাথে যুক্ত কেউ রেহাই পাবেন না বলেই জানান নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, "আজ আমি এখানে (ভুটান) খুব দুঃখের সাথে এসেছি। গতকাল দিল্লিতে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ঘটনা সকলের মনকে কষ্ট দিয়েছে। স্বজনহারা পরিবারের দুঃখ আমি বুঝি। আজ গোটা দেশ তাঁদের পাশে আছে। আমি গতকাল সারারাত এই ঘটনার তদন্তে থাকা সকল সংস্থার আধিকারিকদের সাথে কথা বলেছি। আমাদের তদন্তকারী সংস্থাগুলি এই ষড়যন্ত্রের একদম শিকড় পর্যন্ত যাবে। এর পিছনে যারা যুক্ত আছে কাউকে ছাড়া হবে না। সকলকে বিচারের আওতায় আনা হবে"।
পুলিশ সূত্রে খবর, জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা, পেশায় চিকিৎসক উমর মহম্মদ একটি i20 গাড়ি চালাচ্ছিলেন। ওই গাড়িতেই বিস্ফোরক ছিল বলে দাবি প্রশাসনের। সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিট নাগাদ লাল কেল্লা মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের কাছে সামনে একটি সিগন্যালে বিস্ফোরণ হয়। সূত্রের খবর, দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্তভার এনআইএ-কে দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনার পর সতর্কতা জারি হয়েছে কলকাতাতেও। লালবাজার থেকে কলকাতা পুলিশের সবক’টি থানাকে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে বলে খবর। শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ‘নাকা চেকিং’ শুরু করেছে পুলিশ। পৃথক সতর্কবার্তা জারি করেছেন কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষও। হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে মুম্বাই, জয়পুরের মতো অন্যান্য বড় শহরগুলিতেও।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন