

আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ২২ জন মন্ত্রীর সাথে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন জেডি(ইউ) প্রধান নীতিশ কুমার। এনডিএ সূত্র মারফত এমনটাই খবর। আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
আজ নীতিশ কুমারের বাসভবনে জেডি(ইউ) বিধায়কদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়েছে। এরপর বিজেপি তাদের বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করবে দলনেতা নির্বাচনের জন্য। এরপর বিকেল সাড়ে তিনটার সময় এনডিএ-র পাঁচ শরিকদল সম্মিলিত ভাবে একটি বৈঠক করে নীতিশ কুমারকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করবে বলে জানা গেছে।
এরপর বিদায়ী সরকারের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগপত্র জমা দিতে এবং নতুন সরকার গঠনের দাবি পেশ করতে রাজ্যপাল আরিফ মোহাম্মদ খানের কাছে যাবেন নীতিশ কুমার।
বৃহস্পতিবার গান্ধী ময়দানে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হতে পারে। এই নিয়ে ১০ বারের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন নীতিশ কুমার। সূত্রের খবর, জেডিইউ থেকে ১০ জন বিজেপি থেকে ৯ জন এবং এলজেপি (রাম বিলাস), হ্যাম ও রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চার একজন করে বিধায়ক মন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন। মন্ত্রীদের তালিকায় প্রায় সকল সম্প্রদায়ের ব্যক্তিদের স্থান দেওয়া হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে।
জেডিইউ-র মন্ত্রী তালিকায় দলিত, যাদব, ইবিসি, রাজপুত, যাদব এবং ভূমিহার সম্প্রদায়ের ব্যক্তি আছেন। নীতিশের দল থেকে মন্ত্রী হতে পারেন বিজয় চৌধুরী, শ্রাবণ কুমার, অশোক চৌধুরী, বিজেন্দ্র যাদব, জামা খান, রত্নেশ সাদা, শ্যাম রজক, সুনীল কুমার, লেশি সিং এবং দামোদর রাওয়াত।
এছাড়া বিজেপি থেকে দু'জন করে ভূমিহার ও ইবিসি বিধায়ক, এক জন করে ব্রাহ্মণ ও রাজপুত সম্প্রদায়ের বিধায়ক মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করতে পারেন। কায়স্থ ও বৈশ্য গোষ্ঠীর একজন করে মন্ত্রী রাখা হয়েছে বলে খবর।
বিজেপির তরফ থেকে সম্রাট চৌধুরী, নীতিন নবীন, বিজয় সিনহা, রেণু দেবী, নীরজ বাবলু, মঙ্গল পান্ডে, সঞ্জয় সারাওয়াগি, হরি সাহনি এবং রজনীশ কুমার শপথ নিতে পারেন। এই ৯ জনের মধ্যে ৮ জনই গতবার মন্ত্রিসভার দায়িত্ব সামলেছেন। এলজেপি থেকে রাজু তিওয়ারি, হ্যাম থেকে জিতনরাম মাঝির পুত্র সন্তোষ সুমন এবং রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চার তরফ থেকে উপেন্দ্র কুশওয়াহার স্ত্রী স্নেহলতা কুশওয়াহা মন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করতে পারে।
উল্লেখ্য, বিহারে ৮৯টি আসন পেয়ছে বিজেপি, জেডিইউ পেয়েছে ৮৫টি, আরজেডি ২৫টি, এলজেপি (রামবিলাস) ১৯টি, ৬টি কংগ্রেস, এআইমিম এবং হ্যাম ৫টি করে আসন পেয়েছে। ৪টি আসন পেয়েছে রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা, ২টি আসন দখলে গেছে সিপিআই(এম-এল) লিবারেশনের। ১টি করে আসন পেয়েছে ইন্ডিয়ান ইনক্লুসিভ পার্টি, সিপিআইএম এবং বিএসপি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন