

* শুক্রবার সমস্তিপুর থেকে বিহারে এনডিএ-র নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
* প্রধানমন্ত্রী জানান, এনডিএ নীতিশের নেতৃত্বে আবার ক্ষমতায় ফিরবে।
* গতকালই এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলট জানতে চেয়েছিলেন এনডিএ শিবিরের নেতার নাম।
বিহারে নীতিশ কুমারের নেতৃত্বেই ফের একবার সরকার গড়তে চলেছে এনডিএ। নির্বাচনের আগে বিহারে গিয়ে আগাম ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর দাবি বিহারে ফের সুশাসনের সরকারের উপরই মানুষ ভরসা রাখবেন। আজ থেকেই এনডিএ-র নির্বাচনী প্রচারের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি সমস্তিপুর ও বেগুসুরাইতে জনসভায় বক্তব্য রাখেন।
আগামী ৬ ও ১১ নভেম্বর বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে শুক্রবার বিহারের সমস্তিপুর জেলায় যান নরেন্দ্র মোদী। সেখানে এক জনসভায় নীতিশ কুমারের উপর পূর্ণ আস্থা দেখান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে এনডিএ এবার সব রেকর্ড ভেঙে বিপুল ব্যবধানে জয়লাভ করবে।”
তিনি আরও বলেন, "সারা বিহার বলছে - ফির একবার এনডিএ সরকার, ফির একবার সুশাসন সরকার। বিহারের এমন কোনও কোণ নেই যেখানে বিজেপি উন্নয়নমূলক কাজ করছে না। আজ বিহার বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। আমি এমন এক ভবিষ্যৎ দেখছি যেখানে প্রতিটি জেলায় স্থানীয় স্টার্টআপ গড়ে উঠবে। এই উন্নয়ন কখনও সম্ভব হত না যদি বিহারে ‘জঙ্গল রাজ’ চলত"।
অন্যদিকে মহাগঠবন্ধন তেজস্বী যাদবকে মুখমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছে। বৃহস্পতিবারই কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলট এনডিএ শিবিরের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেছিলেন, “আমি অমিত শাহকে জিজ্ঞাসা করতে চাই আমাদের নেতা তেজস্বী যাদব। এখন তাঁরা বলুন, তাঁদের মুখ কে?”
নীতিশ কুমারের প্রাক্তন ডেপুটি তেজস্বী যাদবও তীব্র আক্রমণ শানিয়ে বলেন, নীতিশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন কিনা তা ভবিষ্যৎ বলবে।
গত কয়েক মাস ধরেই নীতীশ কুমারের ভবিষ্যৎ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চলছিল। বিরোধীদের অভিযোগ, বিজেপি নীতিশকে সামনে রেখে নির্বাচন লড়লেও তাকে সরানোর পরিকল্পনা করছে।
তবে জেডিইউ একাধিকবার জানিয়েছে, নীতীশ কুমারই মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। এপ্রিলে দলের পক্ষ থেকে পাটনায় বড় বড় পোস্টার লাগানো হয়েছিল, যেখানে লেখা ছিল - “নীতীশ কুমার ২০৩০ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন।”
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন