
বিহারে পুনরায় ক্ষমতা দখল করতে পারে বিজেপি-জেডিইউ নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। তবে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বিহারবাসীর প্রথম পছন্দ তেজস্বী যাদব! সি ভোটারের জনমত সমীক্ষায় এই তথ্যই উঠে এসেছে।
আগামী ৬ ও ১১ নভেম্বর বিহারে দু'দফায় বিধানসভা নির্বাচন। আসন্ন নির্বাচনে এনডিএ শিবির এবং মহাগঠবন্ধনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে। চমক দিতে পারে প্রশান্ত কিশোরের জন সুরজ পার্টিও। সি ভোটারের জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী বিহারের ৪০ শতাংশ জনগণ পুনরায় এনডিএ সরকার চাইছেন।
৩৮.৩ শতাংশ মানুষ চাইছেন আরজেডি নেতৃত্বাধীন মহাগঠবন্ধন সরকার। ১৩.৩ শতাংশ মানুষ প্রশান্ত কিশোরের জন সুরজ পার্টি সরকার গড়তে পারে বলে দাবি করেছেন।
সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী, পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বিহারবাসী লালুপুত্র তেজস্বী যাদবকে এগিয়ে রাখছেন। সি ভোটার জানিয়েছে, এই সমীক্ষা গত ৯ এবং ১০ অক্টোবর করা হয়েছে টেলিফোনের মাধ্যমে। ২৫০০ জন মানুষের সাথে তারা কথা বলেছে। ৩৬.২ শতাংশ মানুষ তেজস্বীকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান। ২৩.২ শতাংশ মানুষ প্রশান্ত কিশোরকে মুখ্যমন্ত্রী পদে চান।
বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারকে মাত্র ১৫.৯ শতাংশ মানুষ সমর্থন করেছেন। যা এনডিএ শিবিরের জন্য যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ হতে পারে। এছাড়া এলজেপি (রামবিলাস) প্রধান চিরাগ পাসোয়ানকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান ৮.৮ শতাংশ মানুষ এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সম্রাট চৌধুরীকে ৭.৮ শতাংশ মানুষ বেছে নিয়েছেন।
গতবার নীতিশ কুমারের জেডিইউ ১১৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৪৩ এবং বিজেপি ১১০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৭৪ আসনে জয়ী হয়। এছাড়াও হিন্দুস্তান আওয়ামী মোর্চা ৭ আসনে লড়াই করে ৪ এবং বিকাশশীল ইনসান পার্টি ১১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৪ আসনে জয়ী হয়। অর্থাৎ এনডিএ জোট মোট ১২৫ আসনে জয়ী হয়েছিল। বিহারে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১২২ আসন। অন্যদিকে বিরোধী মহাজোটের মোট আসন ছিল ১১০।
২০২০ বিহার বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল তিন পর্বে। সেবার ২৮ অক্টোবর ৭১ আসনে, ৩ নভেম্বর ৯৪ আসনে এবং ৭ নভেম্বর ৭৮ আসনে ভোটগ্রহণ হয়। ভোটের ফলাফল ঘোষিত হয়েছিল ১০ নভেম্বর। এবার ফলপ্রকাশ হবে আগামী ১৪ নভেম্বর।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন