চিরাগ পাসোয়ানের এলজেপি (রামবিলাস) এবং বিজেপির মধ্যে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। আগামীকাল অর্থাৎ শনিবার বিস্তারিত ঘোষণা হতে পারে।
আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনে 'সম্মানজনক' আসনের দাবি জানিয়েছিলেন চিরাগ পাসোয়ান। একাধিক আলোচনাও হয় এনডিএ শিবিরের অন্যান্য শরিক দলগুলির সাথেও। প্রথম থেকেই ৪০-৪৫টি আসনে লড়ার জন্য বিজেপি এবং জেডিইউ-র উপর চাপ বাড়াচ্ছিলেন চিরাগ। সূত্রের খবর, ২৫-২৬টি আসনে লড়তে রাজি হয়েছেন চিরাগ।
বৃহস্পতিবার বিজেপি এবং এলজেপির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। আলোচনায় ছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। সূত্র মারফত জানা গেছে, বৈঠক “ইতিবাচক” ছিল।
এলজেপির দাবি অনুযায়ী, তাদের দখলে থাকা প্রতিটি লোকসভা আসনের জন্য ৮টি বিধানসভা আসন পাওয়া উচিত। পাসোয়ানের দলে বর্তমানে ৫ জন সাংসদ আছেন, তাই দাবি ছিল ৪০টি আসন পাওয়া উচিত।
উল্লেখ্য, ২০২০ বিহার বিধানসভা নির্বাচনে আসন সমঝোতা না হবার কারণে এককভাবে লড়াই করে এলজেপি। যদিও সেবার এনডিএ-র এই শরিক দল বিজেপির বিরুদ্ধে কোনও প্রার্থী দেয়নি। কিন্তু জেডিইউ-র বিরুদ্ধে প্রতিটি কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছিল। ১৩৪ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সেবার এলজেপি পায় মাত্র ১ আসন। অন্যদিকে এলজেপি-র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়ে জেডিইউ থেমে যায় ৪৩ আসনে। যা বিগত দু’দশকে জেডিইউ-র সর্বনিম্ন আসন।
আগামী ৬ ও ১১ নভেম্বর বিহারে দু'দফায় নির্বাচন। ১৪ নভেম্বর ফলপ্রকাশ হবে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন