
২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে আসাম বিজেপিতে বড় ধাক্কা। ১৭ জন নেতাকে নিয়ে গেরুয়া শিবির ছাড়লেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রী তথা চারবারের প্রাক্তন সাংসদ রাজেন গোহাইন। তিনি আসাম বিজেপির সভাপতিও ছিলেন।
বৃহস্পতিবার দলত্যাগ করেন রাজেন গোহাইন। ৭৪ বছর বয়সী এই নেতা গুয়াহাটিতে রাজ্য দফতরে দলের সদস্যপদ থেকে পদত্যাগপত্র জমা দেন। একই সঙ্গে পদত্যাগপত্র জমা দেন ১৭ নেতাও।
একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সাথে তাঁর বিরোধ হয়েছিল। কারণ হিমন্ত কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগদান করার কয়েক বছরের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। ফলে আদি-নব্যের দ্বন্দ্ব প্রথম থেকেই ছিল।
১৯৯৯ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত টানা চার বার নাগাঁও লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন গোহাঁই। ২০১৬ সালে তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য হন। রেল প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। ২০১৯ সালে দল তাঁকে টিকিট না দেওয়ায় তিনি ভোটে লড়েননি। ২০২৪-এও একই অবস্থানে ছিলেন তিনি। ওই দুই নির্বাচনেই নাগাঁও কেন্দ্রে জয় লাভ করে কংগ্রেস।
দল ছাড়ার কারণ প্রসঙ্গে গোহাঁই বলেন, "আমরা এই দলে যোগ দিয়েছিলাম অটল বিহারী বাজপেয়ী, লালকৃষ্ণ আডবাণীর মতো নেতাদের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে। আজ যারা ক্ষমতায় আছেন, তাঁদের জন্য নয়। যারা সারা জীবন দলকে দিয়েছে, সেই পুরনো নেতাদের কোণঠাসা করে দেওয়া হচ্ছে এখন। এই বিজেপি এখন অসমিয়া জনগণের সবচেয়ে বড় শত্রু"।
২০২৩ সালে তিনি আসাম ফুড অ্যান্ড সিভিল সাপ্লাইস কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, নাগাঁও আসনের জনসংখ্যা কাঠামো বদলে সংখ্যালঘু ভোটার বাড়ানো হয়েছে।
তবে বিজেপি গোহাইনের পদত্যাগকে গুরুত্বহীন বলেই দাবি করেছে। দলের মুখপাত্র রাজীব কুমার শর্মা বলেন, “ওই সময় তিনি সাংসদ থাকলেও নাগাঁওতে কোনও বিজেপি বিধায়ক ছিল না। এখন সেখানে আটজন বিধায়ক আছেন। তাঁর পদত্যাগ নির্বাচনে বড় প্রভাব ফেলবে না।”
তিনি আরও বলেন, “দল তাঁকে যথেষ্ট সম্মান দিয়েছে। তিনি ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী, রাজ্যে মন্ত্রিসভার পদেও ছিলেন। দল তো একজনের জন্য নয়।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন