
কর্ণাটক সরকারের সামাজিক ও শিক্ষাগত জরিপ বা জাতিগত জনগণনায় অংশগ্রহণ করছেন না ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তি এবং তাঁর স্ত্রী তথা রাজ্যসভার সাংসদ সুধা মূর্তি। তাঁরা অনগ্রসর শ্রেণির আওতায় পড়েন না বলেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
গত ২২ সেপ্টেম্বর থেকে কর্ণাটকে শুরু হয়েছে জাতিগত জনগণনার কাজ। কর্ণাটকে ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসেস কমিশন এই জাতিগণনা পরিচালনা করছে। তবে ১০ অক্টোবর প্রভাবশালী দম্পতি জানিয়েছেন, “আমরা কোনো অনগ্রসর শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত নই। তাই জরিপে আমাদের অংশগ্রহণ সরকারের কোনো কাজে আসবে না। সেই কারণে আমরা অংশ নিতে অস্বীকার করছি।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি সব ‘ফরওয়ার্ড’ শ্রেণির মানুষ এভাবে অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানান তবে রাজ্যের সামাজিক-শিক্ষাগত জরিপ কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়বে। এই জরিপ Karnataka State Backward Classes Commission আইনের অধীনে প্রতি দশ বছর অন্তর বাধ্যতামূলকভাবে পরিচালিত হওয়ার কথা।
যদিও এই জরিপে অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক নয় বলেই জানিয়েছিল কর্ণাটক হাইকোর্ট। এরপর থেকেই রাজ্যের বিরোধী শিবিরের একাংশ জরিপ বয়কটের ডাক দেয়। যার মধ্যে প্রহ্লাদ যোশী এবং তেজস্বী সূর্যের মতো হেভিওয়েট রাজনৈতিক নেতারা রয়েছেন।
সমাজকর্মী শিবসুন্দর একটি খোলা চিঠিতে লেখেন, সংবিধানের সামাজিক ন্যায়বিচারের আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য সব নাগরিকের অংশগ্রহণ প্রয়োজন। আইনি বাধ্যবাধকতা না থাকলেও এই অংশগ্রহণ সংবিধানিক নৈতিকতার অঙ্গ।
উল্লেখ্য, রাজ্যের প্রায় ২ কোটি পরিবারের ৭ কোটি মানুষকে এই জরিপের আওতায় আনা হবে। এতে সরকারি বিদ্যালয়ের ১.৭৫ লাখ শিক্ষকরা দায়িত্ব পালন করছেন।
৪২০ কোটি টাকা ব্যয়ের এই জরিপে ৬০টি প্রশ্ন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রতিটি পরিবারকে বিদ্যুৎ মিটার নম্বর ব্যবহার করে জিও-ট্যাগ করা হবে এবং একটি ইউনিক হাউসহোল্ড আইডি (UHID) দেওয়া হবে। KYC সমস্যার সমাধানের জন্য মুখ-পরিচয় শনাক্তকরণের অ্যাপ ব্যবহার করা হচ্ছে।
যারা এই প্রক্রিয়া চলাকালীন বাড়িতে উপস্থিত থাকতে পারবেন না তাঁদের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁরা হেল্পলাইন 8050770004-এ যোগাযোগ করতে পারেন অথবা অনলাইনে জরিপ সম্পন্ন করতে পারেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন