
মহারাষ্ট্রে ভাষা বিতর্ক ক্রমেই তীব্র আকার ধারণ করছে। এই আবহেই বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ স্পষ্ট জানিয়েছেন যে মারাঠি রাজ্যের সরকারি ভাষা এবং মহারাষ্ট্রে বসবাসকারী প্রত্যেকেরই এটি শেখা উচিত।
একদিকে আরএসএস নেতা বলছেন মারাঠি শেখার প্রয়োজন নেই অন্যদিকে ফড়নবিশের মতে মারাঠি শিখতেই হবে। যা নিয়ে উত্তপ্ত মহারাষ্ট্রের রাজনীতি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মারাঠি শুধুমাত্র একটি ভাষা নয় বরং রাজ্যের সংস্কৃতি ও পরিচয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা সম্মান করা নাগরিকদের দায়িত্ব। তাই মহারাষ্ট্রে থাকতে হলে মারাঠি শিখতেই হবে।
বিজেপি-নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্র সরকার ইতোমধ্যেই স্থানীয় ভাষার প্রচারে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। আইসিএসই ও সিবিএসই বোর্ডের স্কুলগুলিতে মারাঠি ভাষা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর বিধানসভায় বিজেপি ও শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী) সদস্যদের মধ্যে উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। রাজ্যের ভাষানীতি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) নেতা সুরেশ ভাইয়াজি যোশী মন্তব্য করেন, "সকলের জন্য মারাঠি জানা আবশ্যক নয়। মুম্বাইতে কেবল একটি নয়, অনেক ভাষা রয়েছে। মুম্বাইয়ের প্রতিটি অংশের নিজস্ব ভাষা আছে। ঘাটকোপার এলাকার ভাষা গুজরাটি, তাই আপনি যদি মুম্বাইতে থাকেন বা এখানে আসতে চান তবে আপনার মারাঠি শেখার প্রয়োজন নেই"।
আরএসএস নেতা মারাঠিকে গুরুত্ব না দিলেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মারাঠি ভাষাকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন, তাহলে কি সংঘ এবং বিজেপির সম্পর্কে ফাটল ধরছে? যদিও সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন