
বিহারের বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শাসক বিরোধী জোটের আসন সমঝোতা নিয়ে ক্রমশ পারদ চড়ছে। এরই মধ্যে বিকাশশীল ইনসান পার্টি (VIP)-র প্রধান মুকেশ সাহানি উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবি জানিয়েছেন।
বিহারে বিরোধী শিবিরের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবেন তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে আসন সমঝোতা নিয়ে জটিলতা বাড়তেই উপ-মুখ্যমন্ত্রীত্বের দাবি করলেন মুকেশ সাহানি। সূত্রের খবর, মহাগঠবন্ধনে ৫০-৬০টি আসন দাবি করেছেন মুকেশ। যা কোনওভাবেই আরজেডির পক্ষে ছাড়া সম্ভব নয়। কংগ্রেস ৭০টি আসন দাবি করেছে বলে জানা যাচ্ছে।
কংগ্রেসের জন্য ৫৫-৬০টি আসন ছাড়তে পারে আরজেডি। বামেদের জন্য, অর্থাৎ সিপিআইএমএল, সিপিআই এবং সিপিআইএম-এর জন্য ৩০-৩২টি এবং মুকেশ সাহনির ভিআইপি-র জন্য ১৪-১৬টি আসন ছাড়া হতে পারে। যদিও এখনও পর্যন্ত আসন রফা চূড়ান্ত হয়নি।
এবারের নির্বাচনে কম আসনে লড়াই করতে রাজি নন মুকেশ সাহানি। । তবে উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পদের জন্য মনোনীত করা হলে তিনি কম আসন দিলেও রাজি। অন্যদিকে, কংগ্রেসের তরফ থেকেও উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবি জানানো হয়েছে।
সাহনির অসন্তোষ আরও বেড়েছে, কারণ তাঁর পছন্দের আসন মুজাফফরপুর, পাটনা সাহিব, সাহিবগঞ্জ ও নারকাটিয়াগঞ্জ তাঁকে ছাড়তে রাজি নয় জোট। মুজাফফরপুর বর্তমানে কংগ্রেসের বিজেন্দ্র চৌধুরী-র দখলে। সাহিবগঞ্জে এমএলএ রাজু, যিনি আগে ভিআইপি-র হয়ে জিতেছিলেন কিন্তু পরে ভারতীয় জনতা পার্টি-তে যোগ দেন।
জোটে মতানৈক্য দূর না হলে সাহনি ফের এনডিএ শিবিরে যোগ দিতে পারেন বলেও জল্পনা চলছে। ২০২০ সালে তিনি এনডিএ-র অংশ হিসেবে ১১টি আসনে লড়েছিলেন এবং ৪টিতে জয়ী হয় তাঁর দল। সেবার মহাজোটে থাকলেও আসন বন্টন ঘোষণার দিন দাবী মত আসন না পাওয়ায় তিনি মহাজোটের বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং এনডিএ-তে যোগ দেন।
উল্লেখ্য, ৬ এবং ১১ নভেম্বর - দু'দফায় বিহারে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১৪ নভেম্বর ফলাফল প্রকাশিত হবে। প্রথম দফার গেজেট নোটিফিকেশন ইস্যুর তারিখ ১০ অক্টোবর। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ১৭ অক্টোবর, স্ক্রুটিনি ১৮ অক্টোবর এবং মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২০ অক্টোবর।
দ্বিতীয় দফার গেজেট নোটিফিকেশন ইস্যুর তারিখ ১৩ অক্টোবর। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ২০ অক্টোবর, স্ক্রুটিনি ২১ অক্টোবর এবং মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৩ অক্টোবর।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন