বিহারের ভোট ঘোষণার পরেই আসন বন্টন নিয়ে চাপান উতোর শুরু হল মহাজোটে। গতকালই বিহার বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেন মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক জ্ঞানেশ কুমার। ঘোষিত সূচী অনুসারে আগামী ৬ ও ১১ নভেম্বর, দু’দফায় বিহার বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ফল ঘোষিত হবে ১৪ নভেম্বর। বিহারের বর্তমান বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২২ নভেম্বর।
গতকাল নির্বাচনী তারিখ ঘোষণার পরেই বিরোধীদের আসন বন্টন আলোচনা কিছুটা গতি পেয়েছে। যদিও প্রাথমিকভাবে মহাজোটের অন্যতম শরিক সিপিআইএমএল প্রধান শরিক আরজেডি-র দেওয়া আসনের প্রস্তাবে সম্মত নয় বলে জানা গেছে।
সিপিআইএমএল সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য আগেই জানিয়েছিলেন তারা এবার আগের বারের তুলনায় বেশি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান। গতবার ৩০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইলেও তাদের ভাগে পড়েছিল ১৯ আসন। এবার আগে থেকেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তিনি জানিয়েছিলেন, এবার কমপক্ষে ৪০ থেকে ৪৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায় সিপিআইএমএল। তাঁর মতে এবার গতবারের স্ট্রাইক রেট অনুসারে এবার আসন বন্টন করা উচিত।
যদিও সূত্র অনুসারে, আরজেডি সেই প্রস্তাবে সম্মত হয়নি, এমনকি গতবারের তুলনায় আসন বাড়ানোর প্রশ্নেও তা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে আরজেডি। অর্থাৎ গতবারের মত এবারেও ১৯ আসনেই সন্তুষ্ট থাকতে বলা হয়েছে সিপিআইএমএল-কে। যে প্রস্তাবে সম্মত নয় সিপিআইএমএল।
সূত্র অনুসারে, সিপিআইএমএল এই প্রস্তাবে অসন্তোষ জানিয়েছে এবং আরজেডি-র শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে কমপক্ষে ৩০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার দাবি জানিয়েছে। আসনের তালিকাও পাঠানো হয়েছে আরজেডি নেতৃত্বের কাছে। সিপিআইএমএল সূত্র অনুসারে, আরজেডি নেতৃত্বের কাছ থেকে সিদ্ধান্ত জানার পরেই তাদের পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা করবে দল।
গত ২০২০ বিধানসভা নির্বাচনে ১৯ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১২ আসনে জয়ী হয় সিপিআইএমএল। এবারের নির্বাচন প্রসঙ্গে সিপিআইএমএল-এর বক্তব্য তাদের আসন ছাড়াও অর্থ সেই আসনে নিশ্চিত জয়। অথচ আশ্চর্যজনকভাবে আরজেডি বাস্তব পরিস্থিতি বুঝছে না বা বুঝতে চাইছে না। এই পরিস্থিতিতে দলের অবস্থান বদলেরও সম্ভাবনা নেই। কারণ, গতবারের ফলাফলের নিরিখেই এবার বেশি আসনের দাবি জানানো হয়েছে।
গত বিধানসভা নির্বাচনের প্রায় শেষ মুহূর্তে মহাজোটের শরিক হয় সিপিআইএমএল। সেবার ৩০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রার্থী দাঁড় করালেও মহাজোটের স্বার্থে ১৯ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। যদিও এবার ৩০ আসনের দাবি থেকে সরতে রাজী নয় সিপিআইএমএল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন