

জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতীয় জওয়ানদের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরেও কেন্দ্র সরকার জি২০ সম্মেলনের সাফল্য উদযাপন করছে। এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তীব্র নিন্দা করলেন আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝা। এই উচ্ছ্বাসের কড়া সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রীকে ‘অসংবেদনশীল’ আখ্যা দিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, বুধবার জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার কোকোরেনাগ এলাকায় সেনাবাহিনী ও জঙ্গিদের ব্যাপক গুলির লড়াইয়ে প্রাণ হারিয়েছেন সেনাবাহিনীর তিন আধিকারিক ও জম্মু-কাশ্মীরের এক পুলিশ কর্তা।
বৃহস্পতিবার সকালেই ভারতীয় সেনার তরফে সরকারিভাবে সেনা আধিকারিকদের ও পুলিশকর্মীর মৃত্যুর খবর প্রকাশ করা হয়। এদিন সংবাদমাধ্যমের পর্দায় সেই খবর ও মোদী সরকারের জি২০ সম্মেলনের সাফল্য উদযাপনের খবর দেখে আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝা একটি ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, “সকাল থেকে আমি টিভিতে দেখছি কীভাবে সম্প্রচারকরা একদিকে দেশের সাহসী জওয়ানদের শহীদ হওয়ার দুঃসংবাদ এবং অন্যদিকে জি২০ সম্মেলনের সাফল্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর উদযাপন দেখাচ্ছেন। যেখানে এদিন সকাল থেকে আমাদের বীর জওয়ানদের শহীদ হওয়ার খবর দেখানো হচ্ছে, সেখানে বিজেপি নেতারা জি২০ সম্মেলনের সাফল্য নিয়ে উৎসবটা অন্য কোনোদিন করতে পারলেন না?”
ঝা আরও জানিয়েছেন, “প্রধানমন্ত্রী এমনি সময় দেশপ্রেমের কথা বলেন, কিন্তু এদিকে জওয়ানদের শহীদ হওয়ার দিনেও নিজেদের উৎসব বন্ধ করতে পারলেন না। এখানেই প্রধানমন্ত্রীর দ্বিচারিতা প্রকাশ পায়। যখন পুলওয়ামার ঘটনা ঘটেছিল, তখন উনি বলেছিলেন উনি নাকি অনেক দেরিতে খবর পেয়েছেন। কিন্তু এদিন তো সারাক্ষণ টিভিতে জওয়ানদের ত্যাগের ছবি দেখানো হচ্ছে। আর এদিকে বিজেপি নেতারা জি২০ সম্মেলনের সাফল্য নিয়ে উৎসব করছেন, প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে ফুলের বৃষ্টি করছেন।”
উল্লেখ্য, বুধবার সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে আহত হন ৩ সেনা জওয়ান ও ১ পুলিশকর্মী। সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, চিকিৎসা চলাকালীনই তাঁদের মৃত্যু হয়। মূলত প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণেই মৃত্যু হয়েছে। কর্নেল মনপ্রীত সিং, মেজর আশীস ধোনাক, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট হুমায়ুন মুজামিল এবং এক সেনা জওয়ান শহিদ হয়েছেন। আরও এক জওয়ানের খোঁজ মিলছে না বলে জানানো হয়েছে সেনাবাহিনীর তরফ থেকে। ঘটনার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানের লস্কর-ই-তৈবা ঘনিষ্ঠ নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী The Resistance Front (TRF)।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন