

কর্ণাটকে কুর্সি নিয়ে দড়ি টানাটানি অবস্থার মধ্যেই দিল্লিতে দলের হাইকম্যান্ডের সাথে বৈঠকের জন্য গেলেন ডি কে শিবকুমার ঘনিষ্ঠ বিধায়করা। জানা যাচ্ছে, শিবকুমারকে বাকি সময়ের জন্য কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী করার দাবিতেই দিল্লি যাত্রা করেছেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবারই কর্ণাটকের ১ মন্ত্রী সহ ১০ বিধায়ক দিল্লি যান। শুক্রবার আরও বিধায়কের দিল্লি পৌঁছানোর কথা। তাঁরা মূলত কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং দলের সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেণুগোপালের সাথে বৈঠকের পরিকল্পনা করেছেন। বৈঠকে শিবকুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি জানানো হবে বলেই খবর। তবে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড সূত্রে খবর, এমন কোনও আলোচনা বৈঠকে হবে না।
বিধায়কদের দিল্লি যাত্রা নিয়ে শিবকুমারকে প্রশ্ন করেছিলেন সাংবাদিকরা। তিনি জানান, বিধায়কদের যাত্রা সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না। সিদ্দারামাইয়াকে মুখ্যমন্ত্রী করা নিয়ে তিনি বলেন, 'আমি দলের কাছে খুবই কৃতজ্ঞ যে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করেছে। আমরা সবাই একসাথেই কাজ করছি।'
সম্প্রতি বেঙ্গালুরুতে দলীয় এক অনুষ্ঠানে কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির (কেপিসিসি) সভাপতি পদ ছাড়ার ইঙ্গিত দেন উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার। তিনি জানিয়েছিলেন, "পাঁচ বছর ছ’মাস হয়ে গেছে। মার্চে ছয় বছর হবে। এই পদ চিরদিন ধরে রাখা সম্ভব নয়। তবে চিন্তা করবেন না। আমি সামনের সারিতেই থাকব"। তাঁর এই বক্তব্যের পরই কর্ণাটকের রাজনীতিতে নয়া জল্পনা তৈরি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মে মাসে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর, মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য সিদ্দারামাইয়া এবং শিবকুমারের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। যদিও সিদ্দারামাইয়াকে মুখ্যমন্ত্রী এবং শিবকুমারকে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছিল। কংগ্রেস শিবির সূত্রে জানা যায় ২.৫ বছর মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন সিদ্দারামাইয়া এবং বাকি ২.৫ বছর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ডি কে শিবকুমার। গত জুনে সিদ্দারামাইয়ার মেয়াদ আড়াই বছর পূর্ণ হয়েছে। এরপরই শিবকুমার-ঘনিষ্ঠ বিধায়করা সক্রিয় হয়েছেন। যদিও কংগ্রেস কখনও আনুষ্ঠানিকভাবে এই ধরনের চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেনি এবং সিদ্দারামাইয়া বারবার বলেছেন যে তিনিই পুরো পাঁচ বছরের মেয়াদে মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন