

পাশ হওয়া বিল অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে রাখা উচিত নয়। রাজ্যপাল হয় রাষ্ট্রপতির কাছে বিলটি পাঠাবেন নয়তো বিধানসভায় ফেরত পাঠাবেন। 'প্রেসিডেন্সিয়াল রেফারেন্স' মামলায় এমনটাই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই, বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি বিক্রম নাথ, বিচারপতি এএস চন্দরকর এবং বিচারপতি পিএস নরসিংহ-র সাংবিধানিক বেঞ্চে বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি চলছিল। শুনানিতে আদালত জানায়, বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল অনির্দিষ্টকালে জন্য আটকে রাখতে পারবেন না রাজ্যপাল। একটি সময় পরে তাঁকে পদক্ষেপ নিতে হবে। রাজ্যপাল বা রাষ্ট্রপতি কী সিদ্ধান্ত নেবেন সেটা যদিও সুপ্রিম কোর্ট ঠিক করে দিতে পারে না। কোনও বিল নিয়ে প্রশ্ন থাকলে তা নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে যে প্রতিবার সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ নিতেই হবে এমন বাধ্যতা নেই।
শীর্ষ আদালত বিল নিয়ে রাজ্যপালের সামনে ৩টি সাংবিধানিক বিকল্প তুলে ধরেছে। সুপ্রিম কোর্ট জানায়, রাজ্য আইনসভায় পাশ হওয়া বিল রাজ্যপাল সই করবেন, রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন অথবা বিলটি সই না করে বিধানসভায় ফেরত পাঠাবেন। এই ৩টির মধ্যে যেকোনও একটি বিকল্প বেছে নিতে পারেন রাজ্যপাল।
চলতি বছর এপ্রিল মাসে তামিলনাড়ু সরকারের করা বিল সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, রাজ্যপালের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির বিবেচনার জন্য সংরক্ষিত যেকোনও বিলের বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে তিন মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল আর এন রবি কর্তৃক ডিএমকে সরকার অনুমোদিত ১০টি বিলের অনুমোদন স্থগিত রাখা হয়। রাজ্য সরকার এই পদক্ষেপকে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা বলে উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে।
বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি আর মহাদেবনের বেঞ্চ জানায়, সংবিধানের ২০১ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতির যে ক্ষমতার উল্লেখ আছে, তা সীমাহীন নয়। সংবিধানে সময়সীমার উল্লেখ না থাকলেও, যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে। অনুচ্ছেদ ১৪২ অনুসারে সুপ্রিম কোর্ট রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপালের ক্ষমতা পূরণ করতে পারে না বলে জানায় শীর্ষ আদালত। আদালতের এই নির্দেশের পর রাজ্যপাল ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ব্যাখ্যা করার জন্য ১৪টি প্রশ্ন শীর্ষ আদালতে পাঠিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। যার শুনানি সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চে চলছিল।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন