

রক্ষকই ভক্ষক। উত্তরপ্রদেশে ৪ জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ জানাতে থানায় গিয়ে দুই সাব-ইনস্পেক্টরের দ্বারা ধর্ষিতা হলেন ২৮ বছরের এক তরুণী। শুধু তাই নয়, আসল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে নির্যাতিতার কাছে ঘুষও চেয়েছে পুলিশ বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই ওই দুই পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মীরাটের বুলন্দশহরে। গত সপ্তাহে নির্যাতিতা তরুণী ইন্টিগ্রেটেড গ্রিভেন্স রিড্রেসাল সিস্টেম (IGRS) পোর্টালের মাধ্যমে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ অনুযায়ী, গত বছর নভেম্বর মাসে ৪ জন তাঁকে অপহরণ করে মাদক খাইয়ে ৪৮ ঘন্টা ধরে আলিগড় এবং অন্যান্য স্থানে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে এবং জোর করে ধর্মান্তরিত করে। এই চার অভিযুক্তের মধ্যে একজনের সাথে তাঁর ইনস্টাগ্রামে পরিচয় ছিল।
মহিলা আরও জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ জানাতে গেলে এক সাব-ইনস্পেক্টর তাঁকে একটি ব্যক্তিগত বাসভবনে ডাকেন এবং দু’দিনে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। আরেক অফিসার ওই তরুণীর কাছে ৫০,০০০ টাকা দাবি করেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার জন্য। পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছিলেন এই অর্থ না দিলে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে না। এমনকি উল্টে মহিলার স্বামীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
বুলন্দশহরের এসএসপি দীনেশ কুমার জানান, মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে দুই অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তবে ওই মহিলা একাধিকবার বয়ান বদল করছেন। তিনি পুলিশ আধিকারিকদের নাম উল্লেখ করে এফআইআর করতে রাজি নন। ফলে বিষয়টি আরও জটিল হয়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে, মূল গণধর্ষণ মামলায় এখনও পর্যন্ত একজনের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। বাকি ৩ জনের খোঁজ চলছে। কল রেকর্ড খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন